মোহনপুরে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে শতাধিক পরিবার পানি বন্দী

মোহনপুর প্রতিনিধি:
গত তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের পানি থেকে আসা পাহাড়ী ঢল নওগাঁ আত্রাই মান্দার নদীর পানি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা ধূরইল ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের তানোর সীমানার এলাকার শীব ও বারনই নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে হু-হু করে পানি ঢুকতে থাকে এতে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান, সবজি ক্ষেত, পুকুর, পান বরজ তলিয়ে গেছে।

ইতিমধ্যে বেডিবাঁধ ভেঙ্গে ভীমনগর, মেলান্দি, বেলনা, ঘাসিগ্রাম,বাজে দেওপুর, দেওপুর, মহিষকুন্ডি, ডাঙ্গা পাড়া,পালশা, গোয়ালপাড়া, আমরাইল,শিবপুর, গ্রামের শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

আজ রবিবার বেলা ৪টায় দিকে ভীমনগর গ্রামের বেডিবাধঁ পানির প্রচন্ড চাপে বাঁধের ভাংঙ্গন দেখো দিলে এলাকাবাসী গিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্ঠা করেন। কয়েকদিন প্রবল বর্ষন ও উজানের পানির চাপে ওই বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি ঢুকতে থাকে।

বেড়িবাঁধ পরির্দশন করেন জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শুক্লা সরকার, কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিপুল কুমার মালাকার, ইউপি চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন, আজাহারুল ইসলাম বাবলু।

এ দিকে স্থানীয়রা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধের অন্যদিকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন জানান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির নিরুপনে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিপুল কুমার মালাকার জানান, জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। তালিকা হাতে পেলেই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানা যাবে।

ইউএনও (ভার প্রাপ্ত) শুক্লা সরকার বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের কাজ চলছে।

স/অ