বুধবার , ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মোহনপুরে প্রাইভেট না পড়ায় শিক্ষার্থীকে পেটালো শিক্ষক

Paris
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ ৮:১০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় ইয়াবা সেবনের অপবাদ দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীকে শিক্ষক নুরুল পিটিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আটকিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারপিট আটকে রাখা হয়।

পরে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থী ও তার অবরুদ্ধ বাবাকে উদ্ধার করে। পরে তাদের দুজনকেই চিকিৎসার জন্য মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম বখতিয়ার গালিব ইয়াসির। সে ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে কম্পাউন্ডের ভেতরে এঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থী গালিব জানান, হৃদ রোগে আক্রান্ত মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী বখতিয়ার গালিব ইয়াসির চিকিৎসা শেষে স্কুলে যায়। ওই শিক্ষার্থী স্কুলে আসার পর শিক্ষক নুরুল ইসলাম ইয়াবা সেবনের অপবাদ দিয়ে কৌশলে কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে মারপিট করায়। সাথে শিক্ষক নিজেও বিদ্যালয়েরর ভেতরের এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেন। পরে আহত শিক্ষার্থী ফোনে তার বাবাকে বিষয়টি জানান। পরে বাবা সন্তানকে হাসপাতালে নিতে চাইলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ও তার অনুগত ছাত্ররা মিলে আবারো তাদের পিটিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আটকে রাখে। তবে স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না প্রধান শিক্ষক সুলতানা শাহীন।


এ বিষয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীর পিতা একই উপজেলার মহব্বতপুর খানপুর ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে স্ট্রোক করেছে। সে অনেক অসুস্থ। এটা আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারপরও মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে আমার ছেলেকে শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলে মারধর করেছে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাকেও মারধর করতে ছাড়েনি।

পরীক্ষার্থী গালিব জানান, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় কারেন বিদ্যালয়ে আসতে পারিনি। নুরুল স্যারের কাছে পদার্থ বিজ্ঞান পাইভেট না পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি কৌশলে এ হামলা চালিয়েছেন।

মোহনপুর থানা কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. সেলিম বাদশাহ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত করে তাদের মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেছি। ওই শিক্ষার্থীকে ইসিজি করে তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক ওই ছাত্রকে পিটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা শাহীনকে একাধিকবার তার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাও জানান, বিভিন্ন বিষয় জানতে, প্রধান শিক্ষককে ফোন করা হলে তিনি কোন সময়ই ফোন রিসিভ করেন না।

উল্লেখ্য, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার পরেও ফেল করানো, শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে ভয়ভীতি দেখানোসহ নানাবিধ অনিয়মের একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর