মোহনপুরে দুই নারীর লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুরে দুই সন্তানের জননীকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে মোহনপুর থানা পুলিশ দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ আসমা বেগমের (৪৫) লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। লাশের পাশ থেকে নিহতের ব্যবহৃত ভাঙ্গা মোবাইল ফোন, কোমলপানীয়ের খালি বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ আসমা বেগমের ছেলে মাসুদ রানা শনিবার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

অপরদিকে গলায় ফাঁস দিয়ে মানসিক রোগী এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের গরিবউল্লাহ’র স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৮)। শনিবার ভোর ৬ টার সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার ফুলশো গ্রামের চান মোহাম্মদের সাথে প্রায় ২৬ বছর পূর্বে একই উপজেলার উষায়ের হাটরা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের মেয়ে আসমা বেগমের বিয়ে হয়। দুই সন্তানের জন্মের পর স্বামী চান মোহাম্মদ আসমা বেগমকে তালাক দেন। তখন থেকে আসমা বেগম ছেলে-মেয়েকে নিয়ে উষায়ের হাটরা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন। নিহত গৃহবধূ আসমা বেগম পাশের তীলাহারি গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে বাবুল ইসলামকে দ্বিতীয় বিয়ে করে হাটরা গ্রামে থাকতেন। বর্তমান স্বামী বাবুল হোসেন সপ্তাহে দুই একদিন তার কাছে যাওয়া-আসা করতেন। মেয়ের বিয়ের পর থেকে নিহত আসমা বেগম তার একমাত্র ছেলে সন্তান মাসুদ রানাকে (২২) নিয়ে বসবাস করতেন।

নিহতের ছেলে মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার রাজমিন্ত্রির কাজ শেষে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়িতে ফিরে মায়ের কাছ থেকে খাবার খেয়ে হাটরা গেডির মোড়ে যান তিনি। রাত ৯ টার সময় বাড়ি গিয়ে মাকে দেখতে না পেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে শনিবার সকাল ৮টার সময় হাটরা গ্রামের দুই শিশু উষায়ের হাটরা অম্পায় ডাঙ্গা বিলে ছাগল নিয়ে গেলে তারা গৃহবধূ আসমার লাশ দেখতে পায়। ওই দুই শিশু গ্রামে এসে বিলে লাশ পড়ে আছে বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা বিলে গিয়ে শাহাদত আলীর শসার ক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় গৃহবধূ আসমা বেগমের লাশ দেখতে পান। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে রাজশাহী জেলা পুলিশের (সদর সার্কেল) ডিবির সদস্য সুমন দেব  ও মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মাসুদ রানাসহ পরিবারের দাবি, গৃহবধূ আসমা বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বিলে ফেলে রাখা হয়েছে।

মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, লাশ উদ্ধারের সময় তার ব্যবহৃত ভাঙ্গা মোবাইল ফোন ও একটি খালি কোমলপানীয়ের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর মুখমন্ডল ও মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

অপরদিকে মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের গরিবউল্লাহ’র স্ত্রী মানসিক রোগী আনোয়ারা বেগম (৪৮) ভোর ৬ টার সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

স/শা