মোহনপুরে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

মোহনপুর প্রতিনিধি:

দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘অ্যারলি ওয়ার্নিং সিস্টেম প্রজেক্টের’ আওতায় মোহনপুর উপজেলার জনগোষ্ঠীর সাথে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বিষয়ক একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) অনুষ্ঠিত সংলাপটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা, শান্তি নির্মাণ এবং সহনশীলতা প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা।’

সংলাপটি সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের লিড পিস কিপার প্রভাষক রোখসানা মেহবুব চপলা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড আব্দুস সালাম , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল ও সানজিদা রহমান রিক্তা, ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, হযরত আলী, বাবলু হোসেন, এস আই আলহাজ্ব উদ্দিন, দিলীপ কুমার সরকার তপন সহ স্থানীয় ইমাম, পুরহিত, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ ব্যাক্তিবর্গ, মাহমুদা সুলতানা, প্রজেক্ট অফিসার, মোশাররফ হোসেন, ও প্রকল্পের মোহনপুর উপজেলার ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট দুলোনী খাতুনসহ ৩০ জন।

আলোচনা করা হয় এলাকার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির বর্তমান অবস্থা এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে। আলোচনায় জানা যায়, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রতিবেশ সন্তোষ জনক পর্যায়ে রয়েছে তবে আলোচকরা বলেন, বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রীতির এই অবস্থাকে ধরে রাখা সম্ভব এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে তাদের বেশকিছু করণীয় সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানলাভ এবং সম্মান প্রদর্শন, সহনশীলতাবৃদ্ধি, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা রোধ করা জরুরী।অ

আলোচনায় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, তাৎক্ষনাত কোন ঘটনার সমাধানে জনপ্রতিনিধিরা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা প্রচার, বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নেয়া, ধর্মীয় কুসংস্কার ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে সুশৃংখল পদ্ধতিতে অবস্থান নেয়া, ধর্মীয় গুজব প্রতিহত করার জন্য এগিয়ে আসা এবং সহিংস আচরণ থেকে বিরত থাকতে জনপ্রতিনিধিরা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। সর্বোপরি তারা মনে করেন, জনপ্রতিনিধিদের মনস্তাত্ত্বিক ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে ধর্মীয় বৈষম্যও আন্তঃধর্মীয় কোন্দল নিরসনের দ্বারা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

সংলাপে আলোচনা করা বলেন, এলাকার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলো পালন করার ক্ষেত্রে জাতি-ধর্ম ভিন্নতা না এনে সকলেই সকল কে সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজগঠন করা সম্ভব। উপস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা মনে করেন, ধর্মীয় নেতারা তাদের অবস্থান থেকে যুবসমাজকে ধর্মীয় বিভিন্ন আলোচনা যেমন খুতবা, বাণী-অর্চনা ইত্যাদিতে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা তুলে ধরেন।

জি/আর