মোবাইল চুরির ঘটনায় খুন: কিশোরগঞ্জে ৪ জনের ফাঁসির রায়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের দায়ে চারজনের ফাঁসি ও ২১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু তাহের এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- করিমগঞ্জ উপজেলার চরদেহুন্দা গ্রামের মিজানুর রহমান, নাজমুল, স্বপন মিয়া ও আল আমিন। এদের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দিদার, গিয়াসউদ্দিন সরকার, হাবীবুর রহমান সরকার, দুলাল, ইসরাইল, জসীমউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম মেম্বার, ইসলাম উদ্দিন, কাঞ্চন মিয়া, কাঞ্চন, আলম, সেলিম, লোকমান, হারুণ, সোহেল, আজাদ, রোকনউদ্দিন, রতন, শামীম, শাহাবুদ্দিন ও তার সহোদর আশরাফউদ্দিন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে দেহুন্দা গ্রামের পাকা সড়ক সংলগ্ন কাঞ্চনের চায়ের দোকানে একই গ্রামের নূরুল্লার একটি মোবাইল চার্জে দেওয়া অবস্থায় সেখান থেকে সেটি চুরি হয়। পরদিন নূরুল্লাহ তার লোকজন নিয়ে মোবাইল চুরির বিষয়টি ফয়সালা করতে গেলে কাঞ্চন মিয়ার পক্ষের লোকজনদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ফলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর অবস্থায় নুরুল্লার পক্ষের কুবাদ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। পরে তার ভাতিজা জাকারুলও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহত কুবাদ মিয়ার স্ত্রী সুজাতা আক্তার বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট আ. ছালাম। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাসিরুদ্দিন ফারুকী ও অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমদ।