মোদির পররাষ্ট্রনীতি ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে : এম জে আকবর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতি দেশটির প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে বলে মনে করেন শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক, লেখক ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন এম জে আকবর। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঞ্চালক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তখন এম জে আকবর বলেন, অতীতে কখনও ভারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল না। আর কোনও ভারতীয় নেতা এর আগে সে দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় এতটা জনপ্রিয়তা পাননি এবং এত আলোচনায় উঠে আসেননি। এ ছাড়া, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে। নরেন্দ্র মোদি পররাষ্ট্রনীতিতে এমন সব চমক এনেছেন, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। মোদি প্রতিবেশীর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন, যা ভারতের ইতিহাসে অকল্পনীয়।

এম জে আকবর বলেন, মোদি প্রতিবেশী বলতে শুধু ভৌগোলিকভাবে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে বোঝান না। বরং তিনি অন্য সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে মনোযোগী। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, গাল্ফ অঞ্চলে ভারত থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ফ্লাইট যাতায়াত করে, যা অবিশ্বাস্য। এই অঞ্চলে ভারতীদের এই অবাধ যাতায়াত মোদির সফল পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম উদাহরণ। প্রতিবেশী শুধু ভৌগোলিকভাবে কাছে থাকলেই হয় না। সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে দূরবর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গেও প্রতিবেশী হওয়া যায়। আর মোদি সেটি করতে সক্ষম হয়েছেন।

এম জে আকবর আরও বলেন, মোদি আরও একটি বিষয়ে জোর দিচ্ছেন, সেটি হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন। এককভাবে উন্নয়ন না করে বরং সহযোগিতামূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ভারত। আর এটাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এ ছাড়া কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিল করে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার কৃতিত্ব মোদি দেখিয়েছেন, তা ছিল অভাবনীয়। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রও এক্ষেত্রে সমর্থন দিয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে কেবল মোদির কারণেই।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন