মেসির যত হেয়ার স্টাইল (ছবি)

গত এক যুগ ধরে ফুটবলবিশ্বে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে রাজত্ব করে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার এই মহাতারকার হাতে বিশ্বকাপ ওঠেনি। তবে ক্লাব ফুটবল তাকে দুহাত ভরে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনাতেই আছেন। তবে চলতি মৌসুম শেষে কী হবে তা কেউ জানে না। ফুটবল ক্যারিয়ারে ক্লাব না পাল্টালেও অনেকবার হেয়ারস্টাইল পাল্টেছেন এই ফুটবল জাদুকর। দেখে নেওয়া যাক মেসির সেই হেয়ারস্টাইলগুলোর ঝলক।

২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ‘বয় নেক্সট ডোর’ স্টাইলে এলএম ১০। 

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে চুলের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যায়। ঘাড়, কাঁধ ছাড়িয়ে যায় চুল।

২০০৭ সালের জুন। মেসির মাথায় হেয়ারব্যান্ড। একটা সময় ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম এরকম হেয়ারব্যান্ড লাগিয়ে খেলতেন। 

২০০৮ সালে মেসি আর্জেন্টিনাকে অলিম্পিকে সোনা এনে দেন। সে বার মেসির চুলের স্টাইলে তাকে সাতের দশকের রকস্টারদের মতো দেখাত। 

২০০৯ সালের জানুয়ারি। ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার গালায় নতুন অবতারের মেসিকে দেখা যায়। চুল ছিল অনেকটাই ছোট করে ছাঁটা। 

২০০৯ সালের আগস্ট। আবার লম্বা চুল ঘাড় পর্যন্ত নামানো। ফলে মেসির মাথায় হেয়ারব্যান্ডের প্রত্যাবর্তন। 

২০১১ সালের আগস্ট। অনেকেই বলেন, যতই লম্বা চুল রেখে মেসি নিজেকে স্টাইল আইকন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করুন না কেন, সেবারই প্রথম স্মার্ট মেসির আবির্ভাব হয়েছিল। একেবারে ছোট করে ছাঁটা চুল। 

২০১৩ সালের জানুয়ারি। আবার ব্যালন ডি’অর। আবার পার্টি। আবার নতুন মেসি। হাল্কা গোঁফ, আবছা দাড়ি। অনেকেই বলেন, সুপার স্টাইলিস্ট ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে সেবারই প্রথম চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন মেসি। 

২০১৪ সালের এপ্রিল। এর থেকে সহজ, সরল অথচ আকর্ষণীয় চুলের স্টাইল মেসির জন্য আর হয় না। 

২০১৪ সালের আগস্ট। অনেকেই পছন্দ করেননি মেসির এই চুলের স্টাইল। মাথার অর্ধেক পর্যন্ত, কানের অনেকটা ওপরে চুল শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকি মাথা ছিল কামানো। 

২০১৫ সালের নভেম্বর। আগের থেকে চুলের দৈর্ঘ্য আরেকটু বেশি। সামনে কপাল পর্যন্ত লম্বা। 

মার্চ ২০১৬। অনেকটা ব্যাকব্রাশ করা চুল। দু’দিকে কানের ওপর পর্যন্ত খানিকটা অংশ ফাঁকা। 

২০১৬ সালের জুলাই। পুরোপুরি সাদা চুল মেসির। সঙ্গে দাড়ি। তবে দাড়ি ডাই করেননি। রঙ সোনালি। বেশিরভাগ মেসিভক্তই পছন্দ করেননি। 

২০১৬ সালের অক্টোবর। সোনালি ও সাদা চুলের মিশ্রণ। দাড়ি আগের মতোই সোনালি রঙের। 

২০১৭ সালের জানুয়ারি। আবার সেই পুরনো কালো চুল। সোনালি দাড়ি আগের তুলনায় একটু লম্বা। 

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর। চুল, দাড়ির রঙ আবার একই। তবে সামনের দিকের চুল অনেকটাই খাড়া। 

২০১৮ সালের জুন। সামনে এবং মাঝখানে অনেকটা চুল। দুপাশে তুলনায় কম। দাড়ি অনেক বেশি স্পষ্ট। 

জুন ২০২০। আবার দাড়ি, গোঁফ কামানো। চুল অনেকটাই পাতা, লম্বা। কানের প্রায় অর্ধেক ঢাকা। 

সর্বশেষে গত বুধবারের নতুন চেহারা। এরপর আবার কতদিন পর মেসি ভোল বদলান, সেটা দেখার অপেক্ষা।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ