মেটাভার্সের মাধ্যমে ‘আশ্চর্য এক দুনিয়া’ দেখবে মানুষ! (ভিডিও)

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

রি-ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ হিসেবে ফেসবুকের কর্পোরেট পরিবর্তন করে মেটা রাখা হয়েছে। ‘মেটাভার্স’ এর দুনিয়ায় পা রাখতেই নাম বদল করেছে ফেসবুক।

মেটাভার্স হবে এক ধরনের প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমান্তরাল দুনিয়া যেভাবে মানুষ নিজের অ্যাভাটার তৈরি করে আসল দুনিয়ার মতো সব কাজ করতে পারবেন। তবে ধীরে ধীরে পৃথিবী গড়ে তোলার মতো তৈরি হবে মেটাভার্স। সেটি মোটামুটি রূপ পেতে সময় লাগবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর।

তত দিনে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়বে ‘মেটাভার্স’ এ। সেখানে শুরু হবে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান। একটি আলাদা অর্থনীতি তৈরি হবে সেখানে। ফেসবুকের আশা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে দেবে ‘মেটাভার্স’। ইতিমধ্যে সেখানে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে ফেসবুক। আগামী দিনে ১০ হাজার মানুষের এখানে কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছে।

কী এই মেটাভার্স

‘ইউনিভার্স’ এর মতো আশ্চর্য এক দুনিয়া ‘মেটাভার্স’। তবে  স্বর্গ-মর্ত-পাতালের বাইরে তৃতীয় কোনো জগৎ নয়। এই বস্তুগত উপস্থিতি নেই, আছে ‘ভার্চুয়াল’ উপস্থিতি। সেখানে ব্যবহারকারীর পরিচয় আছে নিজস্ব, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আছে অর্থ, আছে সম্পত্তি, সেখানেই তার পরিচয় তৈরি হবে নতুন করে।

মেটাভার্সে ব্যবহারকারীদের প্রত্যেকের অ্যাভাটারের মতো একটি ‘থ্রিডি ভার্চুয়াল’ রূপ থাকবে। সেই ভার্চুয়াল রূপ বাস্তবের মানুষটির প্রতিনিধিত্ব করবে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। সেখানেই ওই থ্রিডি রূপটির মাধ্যমে পরিচয় তৈরি হবে বাস্তবের ব্যবহারকারীর। সেখানে তার মতো আরও অন্য মানুষ থাকবেন। তাদের সঙ্গে সেই দুনিয়াতে সম্পর্ক গড়ে উঠবে, কথা চলবে, আড্ডাও হবে। শুধু তাই নয়, এই ভার্চুয়াল জগৎ ব্যবহার করে খেলা, কোনো গানের বড় অনুষ্ঠান, সব কিছুই করা যাবে।

১৯৯২ সালে নিল স্টিফেনসন তার ‘স্নো ক্র্যাশ’ উপন্যাসে প্রথম  ‘মেটাভার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। সেই শব্দটি বর্তমানে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ হিসাবে উঠে এসেছে। ফেসবুকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এত দিন গেম খেলার ক্ষেত্রে কম্পিউটারে পর্দায় ভার্চুয়াল দুনিয়া দেখে তাতে অংশ নিতে হতো। কিন্তু ‘মেটাভার্স’ এমন একটি পরিবেশ, যেখানে সেই পরিবেশের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন ব্যবহারকারী। শুধু প্রবেশ করতে পারবেন না, সেখানে এক কল্পনার দুনিয়া বা সমান্তরাল দুনিয়াও তৈরি হবে তার পরিচয়ে। সেই থ্রিডি রূপটির জন্য জামাকাপড় কেনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় সব কাজ করতে হবে ব্যবহারকারীকে। নিজেকে গড়ে তুলতে হবে ‘মেটাভার্স’ এর মতো করে।

সূত্র:যুগান্তর