মেঘনায় ট্রলারডুবি, শিশুসহ আহত ২০

ভোলার মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার ট্রলারের ধাক্কায় একটি যাত্রীবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন শিশুসহ ২০ জন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশনসংলগ্ন মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আয়শা বেগম (৭ মাস), তানজু বেগম (৫), রিপা বেগম (৩০), হেলাল (৫৫), জসিম (৫৫); দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম (৫০), স্বপ্না বেগম (৪০), রিপাত (৭), রেহানা (৩০), মুনতাহা (২), ফারজানা (৬); লালমোহন উপজেলার রুবেল (১৯), নোয়াখালীর নাজিম (২০) ও নুরনবীসহ (১৮) ২০ জন। তাদের মনপুরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ট্রলারে থাকা অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষে নিশ্চিত করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানান, মনপুরার মাস্টারহাট ঘাট থেকে ২০০ যাত্রী ও গবাধিপশু নিয়ে আলাউদ্দিন মাঝির যাত্রীবাহী ট্রলার নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানঘাটে যাচ্ছিল।

পরে স্থানীয়রা মেঘনায় পড়ে যাওয়া যাত্রীসহ গবাধিপশু উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পথে মনপুরার হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশনঘাটসংলগ্ন মেঘনায় ইসলাম মাঝির সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলারের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারের একপাশ ভেঙে যায় ও ট্রলারে থাকা যাত্রীরা মেঘনায় পড়ে যায়।

এ ব্যাপারে যাত্রীবাহী ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন বলেন, যাত্রী নিয়ে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট যাওয়া সময় হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশনসংলগ্ন মেঘনায় ইসলাম মাঝির ট্রলারটি আমার ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারের একপাশ ভেঙে যায়। এ সময় যাত্রীরা নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে সবাইকে উদ্ধার করেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় সব যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা জানান, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর