মেইড ইন বাংলাদেশের বছর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ করে মোবাইল ও কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারে ২০১৮ সাল বাংলাদেশে জন্য একটি যুগান্তকারী বছর বললে ভুল হবে না।

যে দেশ এক সময় স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ আমদানির উপর নির্ভরশীল ছিল, সেই দেশই এখন ডিভাইসগুলো সংযোজন ও উৎপাদন করছে।

সরাসরি উৎপাদন বলা যাবে না, তবে স্মার্টফোন সংযোজনের ক্ষেত্রে মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। গত বছর দেশে প্রথম মোবাইল সংযোজন কারখানা চালু করে ওয়ালটন। আর এই বছর প্রতিষ্ঠানটি দেশে কম্পিউটার সংযোজন কারখানাও চালু করেছে। যেখানে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মাউস, কিবোর্ডসহবেশ কিছু হার্ডওয়্যার উৎপাদন করছে।

গত বছর ওয়ালটনের মোবাইল সংযোজন কারখানা চালুর পর দ্বিতীয় হিসেবে আরেক দেশীও ব্র্যান্ড সিম্ফনি মোবাইল তাদের মোবাইল কারখানা চালু করে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে।

চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়ায় এডিসন গ্রুপের এই কারখানা উদ্বোধন করে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সিম্ফনির কারখানায় সংযোজন করা হ্যান্ডসেট চলতি মাস থেকে বাজারে ছাড়াও শুরু হয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর দেশে আরও একটি মোবাইল সংযোজন কারখানা স্থাপন করে দেশিও প্রতিষ্ঠান আল-আমিন ব্রাদার্স। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ফাইভ স্টার ব্র্যান্ডের মোবাইল সংযোজন করা। সেই লক্ষ্যে ৩০ কোটি টাকা বিনিযোগে গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই ছয়দানায় অন্তত ২০ হাজার বর্গফুট জায়গায় কারখানাটি স্থাপন করা হয়েছে।

দেশে অক্টোবর থেকে নিজেদের কারখানায় মোবাইল ফোন সংযোজন শুরু করেছে ট্রান্সশান হোল্ডিংস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি দুটি ব্যান্ডের ফোন বাজারজাত করে, টেকনো ও আইটেল।

ট্রান্সশান বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেন, ২০১৮ সাল বাংলাদেশকে অনেকটা দিয়েছে। আমরা এই বছরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল কারখানা চালু করেছি। আমরা গত দু’মাস থেকে দেশেই থরি মোবাইল ফোন বাজারজাতও করতে শুরু করেছি।

তিনি বলেন, একেবারেই সহজ ভাষায় বছরটিকে ব্যাখ্যা করতে হলে বলতে হবে, চলতি বছর স্মার্টফোনের জন্য মেইড ইন বাংলাদেশের বছর।

আবেদন করেছে আরও প্রতিষ্ঠান

চলতি বছরেই হুয়াওয়ে, স্যামসাং, আমরা নেটওয়ার্কসসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দেশে হ্যান্ডসেট তৈরির জন্য জায়গা চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছে।