মৃত্যুর চারদিন পর জানা গেল তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া সেই গৌরাঙ্গ পালের (৪৫) করোনা শনাক্তের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে মৃত্যুর চারদিন পর।

গত ৭ মে  ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে ৯০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠানো হয়। তারমেধ্যে শনাক্তকৃত ২ জনের একজন মারা যাওয়া মোহনগঞ্জের গৌরাঙ্গ পালের রিপোর্ট।

তিনি উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের চৌড়াপাড়া গ্রামের প্রফুল্ল চন্দ্র পালের ছেলে। মোহনগঞ্জ পৌরসভার রাউতপাড়া এলাকায় (৮মে) শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গৌরাঙ্গ পালের মৃত্যু হয়।

মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুবীর সরকার জানান, মোহনগঞ্জ পৌরসভার রাউতপাড়া এলাকায় ৮মে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গৌরাঙ্গ পাল (৪৫) নামক একজনের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

গত (৭মে) বৃহস্পতিবার উপজেলর গাগলাজুর গ্রামের বাড়ি থেকে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে আসেন তিনি।

কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে তাকে দেখার পর করোনা রোগী সন্দেহ হওয়ায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে গৌরাঙ্গ মোহনগঞ্জ পৌরসভার রাউতপাড়া এলাকায় তার ভাগ্নের বাসায় চলে যান। এরপর শুক্রবার রাতে তার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তিনি রাত ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

খবর পেয়ে (৯ মে) শনিবার সকালে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সদস্যরা ভাগ্নের বাসায় অবস্থিত ৪ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেইসাথে তাদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানান ডা. সুবীর সরকার।

মঙ্গলবার রাতে ৯০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শনাক্তকৃত ২ জনের একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মোহনগঞ্জের গৌরাঙ্গ পাল বলে জানান নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম খান ।

অন্যজন আটপাড়া উপজেলায় গোয়াতলা গ্রামের ৩২ বছর বয়সের একব্যাক্তি। জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তকৃত সর্বমোট ৮৭জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩১জন।

সূত্রঃ সময়