মঙ্গলবার , ২৫ জুলাই ২০২৩ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীরের সাথে শেষবারের দেখা করেছে স্বজনরা

Paris
জুলাই ২৫, ২০২৩ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দেখা করেছেন স্বজনরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা জাহাঙ্গীরের নিকটাত্মীয়রা তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। কথা শেষে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনের গেট দিয়ে বের হন তারা।

কারাগার থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের ফুফু মোসা. মদিরুন বেগম বলেন, ‘যেডি কথা বুলার দরকার সেডি বুললো। কথা কলো। ভালো থাকেন। দুয়া করেন। আমি দুয়া করিছি। বুললো কান্দেন না, কান্নাকাটি করেন না, দুয়া করেন। যতটুকু পারনু দুয়া করনু।’

কিছু কি খেতে চেয়েছে জাহাঙ্গীর, এমন প্রশ্নে মোসা. মদিরুন বেগম বলেন, না। কিছু খেতে চায়নি। জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই নবাব বলেন, ‘ভাই বলেছে ভালো থেকো। দোয়া করো। এর বাইরে কিছু বলেনি।’

জাহাঙ্গীরের এক ভাতিজা বলেন, ‘আমাদের মাঝখানে নেট ছিল। ছুঁয়ে দেখা যায়নি। ক্ষমা চেয়েছে, আর কান্নাকাটি করেছে। হালকা কথাবার্তা হয়েছে।’

আরেক স্বজন লতিফা বলেন, ‘কান্নাকাটি করছিল। সবার থেকে মাফ চাচ্ছিল। আর বেশি কথা বলেনি।’

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সৌরভ হোসেন, ছোট ভাই মিজানুর রহমান মিজান, বাবা আজিম উদ্দিন, ভাগনে শাহিন আলমসহ ৩০ থেকে ৩২ জন নিকটাত্মীয় দেখা করতে যান। এর আগে আজ সকালে আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পরিবারও সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।

পরে আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র ও পরে বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। অপর দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই দুজন হলেন জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম ও সালামের আত্মীয় নাজমুল।

রিভিউ খারিজের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আসামিরা। সেই প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়ে যায়। নাকচের সেই চিঠি গত ৬ জুলাই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। জেল কোড অনুযায়ী চিঠি হাতে পাওয়ার ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকরের নিয়ম রয়েছে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর