বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলার পর পরীমনির বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে গুলশানের একটি ক্লাব। যা উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করছেন এই চিত্রনায়িকা।
গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, তার তদন্ত চেয়ে পরীমনি বলেছেন, তাতেও ‘আসল সত্য’ বেরিয়ে আসবে।
বুধবার রাতে বনানীতে নিজের বাসায় পরীমনি সাংবাদিক সম্মেলনে পরীমনি বলেন, মূল ঘটনাকে অন্য দিকে ফোকাস করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। প্লিজ সবাই আমার পাশে থাকুন। আমি মনোবল হারাতে চাই না।
পরীমনির মামলায় তুমুল আলোচনার মধ্যে ঢাকা বোট ক্লাবের সদস্য ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ গ্রেফতার হওয়ার দুদিন পর বুধবার অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি, ব্যবসায়ী কে এম আলমগীর ইকবাল অভিযোগ করেন, গত ৭ জুন মধ্যরাতে পরী মনি ও তার সঙ্গীরা ক্লাবে এসে হাঙ্গামা বাঁধিয়েছিলেন।
গুলশানের ওই ক্লাবের প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, গত ৭ জুন মধ্যরাতে পুরুষ ও নারী সঙ্গীসহ ক্লাবে এসে কথা কাটাকাটির পর ভাঙচুর করেন পরীমনি। এ সময় ১৫টি গ্লাস, ৯টি ছাইদানি (অ্যাশট্রে) এবং বেশকিছু হাফ প্লেট ভেঙেছেন তারা।
তবে ঢাকাই ছবির অন্যতম শীর্ষ এ নায়িকা ভাঙচুরের ঘটনাটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, ‘আমি যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েই থাকি, তাহলে এতদিন (৮ দিন) পরে কেন সেটি মিডিয়ায় এলো। যদি ঘটাতাম, এতদিন কি কোনোভাবেই মিডিয়ায় আসতো না? আমি চাই, এটা নিয়েও তদন্ত হোক। ’
এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। নায়িকা বলেন, আমার এতদিক থেকে এত চাপ, সত্যিই এবার ক্লান্ত। আমি চাচ্ছিলাম যে তারা গ্রেফতার হয়েছে, সুবিচার হবে।
‘এখন আমার পক্ষে কে লড়বে, কে লড়বে না- এসব নিয়ে এখন আমি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারছি না। আমাকে উল্টো ব্লেম করা হচ্ছে নানা দিক থেকে। যেটা একেবারেই ভিত্তিহীন। একরকম আমার ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
ওই রাতে ক্লাবে গিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, হ্যাঁ গিয়েছিলাম। সেটা সিসিটিভির ফুটেজে আপনারা দেখেছেন। আমি যদি অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটিয়ে থাকি তাহলে আটদিন পর কেন আসলো। তারা তো আমার মতো ভিকটিম হয়নি। তাদের কোনো বাধা ছিল না, পরের দিন বা সঙ্গে সঙ্গে কমপ্লেইন করার। এটা খুবই স্পষ্ট, সবাই এটা বুঝতে পারছে।
মূল ঘটনা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা চলছে এমন ইঙ্গিত করে পরীমনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যেটা (ঢাকা বোট ক্লাবে নির্যাতন) হয়েছে, হওয়ার পরের চারদিন কিন্তু আমি বসে থাকিনি। সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা কী করেছেন? আমি যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, তাহলে তারা কেন এতদিন চুপ করে ছিলেন? আমি যখন অভিযোগ করলাম, তাদের (ঢাকা বোট ক্লাবে নির্যাতনে অভিযুক্ত নাসির ইউ মাহমুদ) বিষয়টি সামনে আনলাম তখন তারা (অল কমিউনিটি ক্লাব) এটি নিয়ে কথা বলছে। বোঝাই যাচ্ছে, আসল ঘটনার ফোকাস ঘোরানোর চেষ্টা। আপনারা দয়া করে মূল ঘটনা কোনোভাবেই এদিক-ওদিক হতে দেবেন না।’
সূত্রঃ যুগান্তর