মুন লাইট টিস্যু, ডায়াপার, স্যানেটারি ন্যাপকিন কারখানা পরির্দশন করলেন রাসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে মুন লাইট ও হেল্থ এ্যান্ড হাইজিন (প্রা:) লিমিটেড নামের টিস্যু, ডায়াপার ও স্যানেটারি ন্যাপকিন কারখানা পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার পবার আলীমগঞ্জে অবস্থিত কারখানাটি পরিদর্শনে যান তিনি।

পরিদর্শনকালে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন কারখানার স্যানেটারি ন্যাপাকিন ইউনিট, টিস্যু ও ন্যাপকিন ইউনিট, ডায়াপার ইউনিট, উইংস আল্টা সফ্ট ইউনিট, কাঁচামাল ও ফিনিশ গুডস ওয়ার হাউস পরিদর্শন করেন। কারখানার টিস্যু, ডায়াপার ও স্যানেটারি ন্যাপকিন উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানা দেখে মুগ্ধ হন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

এ ব্যাপারে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে এমন কারখানাটি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমি মেয়র থাকাকালে রাজশাহীতে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাস্তবায়নের সুযোগ পাইনি। ফলে গত ৫ বছরে আমরা রাজশাহীবাসী ২০ বছর পিছিয়ে গেছি। এবার সুযোগ পেয়েছি, রাজশাহীতে ব্যাপক শিল্প-কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। পাশাপাশি স্ব-উদ্যোগে যারা কারখানা তৈরি করেছেন অথবা আগামীতে করবেন তাদের পাশে সব সময় থাকবো। আমার পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।


মুন লাইট ও হেল্থ এ্যান্ড হাইজিন (প্রা:) লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল গাফফার বলেন, এ কারখানায় ৬৩টি পোডাক্ট তৈরি করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, স্যানেটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, উইংস আল্টা সফ্ট, ওয়েট টিস্যু, পকেট টিস্যু, বক্স টিস্যু, কিচেন টিস্যু, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু ইত্যাদি।


তিনি আরো বলেন, শুধু বিক্রির জন্য পোডাক্ট তৈরি করছি, তা না। একেকটি পোডাক্ট মানুষের মধ্যে সচেতনা তৈরি করছে। হাইজিন পোডাক্ট ব্যবহারে মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করে মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধিও আমাদের লক্ষ্য।

Image may contain: 8 people, people standing
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক রোমান ফারুক, ফ্যাক্টরী ডিরেক্টর হোসেন আলী, প্রোডাক্ট ম্যানেজার শামিউল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, রাজশাহীর পবার আলীমগঞ্জে ২০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত কারখানাটি ২০১৫ সালে উৎপাদন শুরু করে। এই কারখানায় প্রায় শতাধিক কর্মকতা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। রাজশাহীর অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে মুন লাইট ও হেল্থ এ্যান্ড হাইজিন (প্রা:) লিমিটেড।

স/অ