মুনির-তপন-জুয়েল হত্যার পুনঃতদন্ত ও বিচার দাবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল কেন্দ্রীয় সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে “মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবসের ডাক-মুনির-তপন-জুয়েল হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও বিচার কর, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর” শীর্ষক মানববন্ধন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করে।

শুক্রবার (২৪সেপ্টেম্বরন) সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল, সহ-সভাপতি নোমান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ মায়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাঈম হাসান হৃদয়, সহ-সভাপতি সংগ্রামী মোহন উচ্ছ্বাস, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হুসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ ১৯৮৮ সালের আজকের এই দিনে সিলেটে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী কর্তৃক জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ ও তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা মুনির ই কিবরিয়া, তপন জ্যোতি দেব, এনামুল হক জুয়েল এর নৃশংস হত্যার কথা বর্ণনা করেন ও এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সভাপতির বক্তব্যে গৌতম চন্দ্র শীল বাংলাদেশে চলমান অনিয়ম, দুর্নীতি, লুণ্ঠন, সাম্প্রদায়িক হামলা ও সরকারের সাথে মৌলবাদী সংগঠনের আপোষকামিতার কথা তুলে ধরেন। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অসচ্ছলতার বিবেচনায় সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ, সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেমিস্টার ফি’র নামে লুণ্ঠন, ডাকাতি বন্ধ করতে বলেন। মুনির-তপন-জুয়েল হত্যার সঠিক বিচার না হওয়ার পিছনে সরকারের স্বার্থ জড়িত রয়েছে দাবি করে, সরকারের প্রতি এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও বিচার সম্পন্ন করার হুশিয়ারি দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাঈম হাসান হৃদয় তার বক্তব্যে মুনির তপন জুয়েল হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল এর কর্মসূচী অব্যাহত রাখার কথা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।

মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ শহীদ ৩ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২টি কৃষ্ণচূড়া ও ১ টি সফেদা গাছের চারা রোপণ করেন।