মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি পেলো রাজশাহীর ২৬৬ জন শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। ভারতীয় হাই কমিশন কর্তৃক রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শনিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের ২৬৬জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানকে এই বৃত্তির চেক প্রদান করা হয়।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। বিভিন্ন সময়ে আমরা নির্যাতনের শিকার হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত হইনি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেবল রাজনৈতিক, কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক নয়, বরং এ সম্পর্ক ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেওয়া ভারতের এই শিক্ষাবৃত্তি আমাদের দুই দেশের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলে এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার শ্রী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কল্পনাতীত। তাদের ত্যাগ-তিতীক্ষার জন্যই এই দেশের জন্ম হয়েছে। এ সময় তিনি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে সুন্দর ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে এ সময় শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, রাজশাহীর সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব অজয় কুমার মিশ্র, রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

দেশব্যাপী এ প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের মোট দশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ৩৫ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এককালীন ৫০ হাজার টাকা পাবে।
স/শ