মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিতের প্রতিবাদে আ.লীগ নেতার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. বজলুর রশিদ সনুকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খানকে দলকে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বজলুর রশিদ সনু। তিনি বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয় উপজেলা প্রশাসন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ আয়োজনের অনুরোধ জানালে মাইক কেড়ে বক্তব্য প্রদানে বাধা দেন ও লাঞ্ছিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান।

তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা গত ১৯ ডিসেম্বর শিবগঞ্জে মানববন্ধন করে। এর প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান শিবগঞ্জ উপজেলা ডাক বাংলোতে পরেরদিন সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাদকসেবী হিসেবে মিথ্যা অপপ্রচার করেন। একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত করা ছাড়াও এমন বাজে মন্তব্য করায় হতবাক হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ সনু বলেন, জাসদ থেকে আসা আওয়ামীলীগ নেতা আতিকুল ইসলাম টুটুল খানের বিজয় দিবসের দিন শিবগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা মাটিতে পদদলিত করার ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দেশপ্রেমিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা সাধারণ মানুষের মতোই স্বাভাবিকভাবেই এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। কারন স্বাধীন দেশে বাস করেও তিনি স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ব্যক্তি। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে আতিকুল ইসলাম টুটুল খানকে দল থেকে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলফাজ উদ্দিন, সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. খাইরুল ইসলাম, গেরিলা যোদ্ধা মো. সাইফুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল হক, আবুল হোসেন, বজলুর রহমান, ইসাহাক আলীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সন্তানরা।

জেএ/এফ