মুকুলে ছেয়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগান

কামাল হোসেন:
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি আমবাগান। গাছ ও মুকুলের পরিচর্যায় চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, এবার গতবারের চেয়ে আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় আমবাগানের পরিমাণ ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর। যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৬৩০ হেক্টর বেশি এবং গাছের সংখ্যা ২০ লাখ ১ হাজার ৪০০। এবছর জেলার ছোট বড়সহ অধিকাংশ গাছেই মুকুলে ছেয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে তেমন একটা কুয়াশার আধিক্য না থাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ ভাগ বাগানে মুকুল এসেছে।

 
কিছুদিন পরেই এসব গাছেই ধরবে নানা জাতের সুমিষ্ট আম। ভাল ফলন পেতে এখন বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সবাই। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও ভালো ফলন হবে, এমনটাই আশা বাগানমালিক, আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের। তবে গত দুই বছরের বাজার ব্যবস্থাপনার কথা ভেবে এখন থেকেই উদ্বিগ্ন বাগানমালিকরা।

 
আম ব্যবসায়ী হাসান আল আসাদ পলাশ জানান, আগের মৌসুমগুলোতে আমের ফলন ভালো হলেও, আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হন অধিকাংশ বাগান মালিক। তাই এবার সংশ্লিষ্টদের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং বাজার পর্যবেক্ষণের উপর জোর দেয়ার অনুরোধ জানান।

 
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হোদা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, জেলার প্রধান অর্থকরী ও লাভজনক ফসল হওয়ায় দিন দিন আরও আমবাগানের সংখ্যা বাড়ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এবার আমের ফলন গতবারের চেয়েও ভালো হবে।

 

আর ফলন ভালো করতে চাষিদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণসহ নানা পরামর্শ। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ও এলাকাভেদে তাপমাত্রার রকম ফেরে, স্থানীয় প্রশাসনের আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে আমচাষি ও বাগানমালিকদের সাথে আপত্তি জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

 
অন্যদিকে, নিরাপদ আম উৎপাদন ও পরিবেশ রক্ষায় আমবাগান ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
স/শ