মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে আইএস-এর সঙ্গে তুলনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আচরণকে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে তুলনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জায়েদ রাদ আল হুসেইন। খুব দ্রুত এই সংকট সমাধানের আভাস দেখছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার ৯০০ রেডিওর সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন অমুনাফাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনপিআর-কে দেওয়া রাদ আল হোসেনের এক সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।

২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু কর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখ রোহিঙ্গা। এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছিলেন জায়েদ। সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন এনপিআর এর ম্যারি লুইস কেলির সঙ্গে। তার কথা উঠে আসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের কথা। এই বিষয়ে তার সংস্থার অবস্থানও স্পষ্ট করেন তিনি।

মানবাধিকার সংগঠনর ফোর্টিফাই রাইটস-এর বরাত দিয়ে সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং শিশুদের গলা কাটার তথ্য হাজির করে। চাট পিং-এর ৪১ বছর বয়সী আব্দুর রহমান ওই মানবাধিকার সংগঠনকে সে সময় বলেন, ‘আমার ভাইকে মেরেছে সেনারা। অনেকের সঙ্গে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘আমাদের অপর এক স্বজনের মরদেহ আমরা মাঠের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পেয়েছি। আমার ছোট্ট দুই ভাগ্নেকে গলা কেটে মেরেছে সেনারা।’

এখনও এই ধারার হত্যাযজ্ঞ চলছে উল্লেখ করে রাদ আল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনও নিপীড়ন ও হত্যার খবর পাচ্ছি। উপাসনা করার স্থানগুলোতেই এটা বেশি দেখা যাচ্ছে এবং ধর্মীয় কারণেই তাদের ওপর ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে আইএসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে রাদ বলেন, ‘ছোটো শিশুদের গলাকেটে ফেলার মতো নৃশংস কাজ আপনি শুধু আইএসের হাতেই সংঘটিত হতে দেখবেন।’ সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র বিচারকরাই এটা নিশ্চিত করতে পারে। আমরা একে জাতিগত নিধনযজ্ঞই মনে করি। যেই প্রক্রিয়ায় এটি চালানো হয়েছে তাতে করে আমাদের একেই পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞই মনে হয়েছে।’

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন