ব্যাটিং বিপর্যয়, অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়া—চলতি বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য গল্পটা যেন বদলাচ্ছে না। টানা পাঁচ হারের পর আজ নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচেও তাদের শুরুটা হয়েছিল বাজে ব্যাটিংয়ে। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের বিদায়। এরপরের গল্পটা অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে দলের বিপদে দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন মাশরাফি বিন মুর্তজার জায়গায় নেতৃত্ব পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন।
দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিলেন টাইগার এই ব্যাটার। ৪ চারের মার ও তিন ছক্কায় ৪৬ বলে খেললেন ৫৯ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ৯ বলে ২১ রানের ছোটখাটো ক্যামিও খেললেন আরিফুল। দুজনের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি পেল সিলেট।
নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪২ রান। দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন শরিফুল। এ ছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন আরাফাত সানি।
এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল ঢাকা। শুরুতেই পেসার শরীফুল ইসলামের দাপুটে বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম তিনটি উইকেটই নেন টাইগার এই পেসার। এরমধ্যে ওপেনার শামসুর রহমান ও চার নম্বরে নামা জাকির হাসানকে গোল্ডেন ডাকে আউট করেন তিনি। শান্ত ১২ বল খেলে করতে পারেন মাত্র ৩ রান।
১৩ রানে ৩ উইকেট, সেখান থেকে সিলেটকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও সামিত প্যাটেল। ৫৭ রানের জুটির পর প্যাটেলকে ফিরিয়ে ঢাকাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আরফাত সানি। প্যাটেল ৩২ বলে করেন ৩২ রান। রায়ান বার্ল ১ রান করে ফিরেন উসমান কাদিরের ওভারে। এরপর অনেকটা একাই টানতে থাকেন মিঠুন। বেনি হাওয়েল ১১ রান করে আউট হলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মিঠুন।
শেষ দিকে আরিফুল দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ৯ বলে সিলেট অলরাউন্ডার করেন ২১ রান। শেষ ওভারে ৩টি ওয়াউড দেওয়ার পর মিঠুনকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ।