মায়ের সঙ্গে অভিমান, লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিলেন শিক্ষিকা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে লঞ্চ থেকে মাঝ নদীতে ঝাঁপ দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষিকা। কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ওই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ফাল্গুনী আক্তার (৩৫) ভোলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লালমোহনে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকাসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে জেলেরা তাঁকে উদ্ধার করে।

শনিবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের যাত্রী ছিলেন ফাল্গুনী আক্তার। তিনি মা ও খালার সঙ্গে ওই লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুন-অর রশিদ জানান, বরিশাল নদীবন্দর থেকে রাত ৯টার দিকে সুন্দরবন-১০ লঞ্চটি ঢকার উদ্দেশে যাত্রা করে। রাত ১০টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকা অতিক্রমকালে এক বৃদ্ধা জানান, তাঁর মেয়ে নদীতে পড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ থামিয়ে সার্চ লাইট মেরে নদীতে সন্ধান চালানো হয়। পাশাপাশি লঞ্চের মাইকে নদীতীরের বাসিন্দা ও নদীতে থাকা জেলেদের বিষয়টি জানানো হয়।

ঘণ্টাখানেক পর বরিশাল কোতোয়ালি থানার এসআই মো. রিয়াজ মুঠোফোনে জানান- ওই নারীকে স্থানীয় জেলেরা জীবিত উদ্ধার করেছেন। তিনি সুস্থ আছেন। খবর পাওয়ার পর লঞ্চে থাকা ওই নারীর মা ও খালাকে বিষয়টি জানানো হয়।

কোতোয়ালি থানার এসআই মো. রিয়াজ জানান, রাত ১১টার দিকে চরমোনাই ইউনিয়নের মক্রমপ্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জুয়েল মুঠোফোনে জানান- মক্রমপ্রতাপ গ্রামের আলাম চৌকিদারসহ কয়েকজন জেলে কীর্তনখোলা নদীতে নৌকায় করে মাছ ধরছিলেন। এ সময় এক নারীকে ভাসতে দেখে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে আলাম চৌকিদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি জানান, জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উদ্ধারের পর ওই নারী কিছু সময় অচেতন ছিলেন। জ্ঞান ফিরে এলে জেলেদের কাছে তাঁর নাম বলেন ফাল্গুনী আক্তার। তিনি জেলেদের জানান, লঞ্চে ওঠার পর তাঁর মা তাকে বকাঝকা করেন। এ কারণে লঞ্চ থেকে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন।

জেলে আলাম চৌকিদার জানান, ফাল্গুনী আক্তারকে উদ্ধারের পর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এনে দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। তবে তিনি ভয় পেয়েছেন। এ কারণে কারো সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলছেন না।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, জেলেদের নজরে পড়ায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন ওই নারী। তাঁর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ