মায়ের দোয়ায় আমি এ রেকর্ড গড়তে পেরেছি: নাসিম শাহ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে হ্যাটট্রিক করা পাকিস্তানের ১৬ বছর বয়সী তরুণ পেসার নাসিম শাহ বলেন, আমার মা সারাক্ষণ আমার জন্য মোনাজাত করছিলেন, যে কারণে আমি হ্যাটট্রিক করতে পেরেছি।

বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়েন মাত্র ১৬ বছর বয়সী পাকিস্তান পেসার নাসিম শাহ। পাকিস্তানের চতুর্থ বোলার হিসেবে এ রেকর্ড গড়েন তরুণ এ পেসার।

এর আগে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ১৯৯৯ সালের মার্চে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় খেলায় ও ফাইনাল খেলায় লাহোর এবং একই মাসে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে পরপর দুই টেস্টে হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়েন।

২০০০ সালের জুনে শ্রীলংকার গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বাগতিক লংকানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন পাকিস্তানের তারকা পেসার আব্দুল রাজ্জাক। তার ঠিক দুই বছর পর ২০০২ সালের মার্চে লাহোরে সেই একই প্রতিপক্ষ শ্রীলংকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন পাকিস্তানের তারকা পেসার মোহাম্মদ সামি। তিন বছরে (১৯৯৯-২০০২) চার সেঞ্চুরির ১৮ বছর পর পাকিস্তানের চতুর্থ বোলার হিসেবে পঞ্চম হ্যাটট্রিক করেছেন নাসিম শাহ।

৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হওয়া টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নাসিম শাহ। তার হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়া টেস্টে বাংলাদেশ ইনিংস ও ৪৪ রানের ব্যবধানে হেরে যায়।

১৬ বছর ৩৫৮ দিন বয়সে হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়া নাসিম শাহ বলেন, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী বোলার হিসেবে এ হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়া সত্যিই অসাধারণ। বিশেষ করে নিজের দেশের সমর্থকদের সামনে এই রেকর্ড গড়তে পারার আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে।

প্রসঙ্গত, নাসিম শাহর আগে বাংলাদেশের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার অলক কাপালি টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়েছিলেন। তিনি ১৯ বছর ২৪০দিন বয়সে হ্যাটট্রিক করেন।