মাশরাফি ভাই রাজনীতিতেও সফল হবেন: নাফীস

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জাতীয় ক্রিকেট দলের এই অধিনায়ক আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে পা দেয়া মাশরাফির শুভকামনা করেছেন বাংলাদেশ দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘মাশরাফি ভাই বাংলাদেশের কিংবদন্তি প্লেয়ার। বাংলাদেশ ক্রিকেটে উনার অনেক অবদান আছে। উনি ক্রিকেট মাঠে থাকেন আর রাজনীতির মাঠেই থাকেন উনার জন্য শুভকামনা থাকবে। ’

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেশের হয়ে ৭০টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ ৪০টিতে জয় উপহার দেন তিনি। অধিনায়কের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও তিনি সফল। একদিনের ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫৮ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার।

ক্রিকেট মাঠে আধিপত্য বিস্তার করা মাশরাফি পা রেখেছেন রাজনীতিতে। মাঠে সফল এই ক্রিকেটারের জনসেবায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে শাহরিয়ার বলেন, ‘ক্রিকেটাররা মাঠের বাইরেও অবদান রাখতে পারে সেটা আগেও প্রমাণ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশ দলের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় নির্বাচন করেছেন। তিনি সংসদ সদস্য হয়ে জনগণের কল্যাণসাধনে অবদান রাখছেন। মাশরাফি ভাইও সেই পথেই যাচ্ছেন। আশা করি উনারা খেলার মাঠে যেভাবে অবদান রেখেছেন দেশের মানুষের জন্য তার চেয়েও বেশি অবদান রাখবেন।’

ক্রিকেটার থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। ক্রিকেটার হিসেবে শ্রীলংকাকে বিশ্বকাপ উপহার দেয়া অর্জুনা রানাতুঙ্গা এখন শ্রীলংকার সংসদ সদস্য। কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার এবং নভজ্যোত সিং সিধু ভারতের সংসদ সদস্য। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে। যারা খেলোয়াড় থেকে জাতীয় নেতা হয়েছেন।

তারকা খেলোয়াড়দের রাজনীতির ময়দানে অংশ নেয়া নিয়ে সাবেক অধিনায়ক নাফীস বলেন, ‘ভালো কাজ করার দায়িত্ব যদি তারকারা না নেন তাহলে ভালো কাজই হবে না। আশা করি উনারা (ক্রিকেটাররা) দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেন। প্রথমেই মাশরাফি ভাই সম্পর্কে বলি, উনি জাতীয় দলের যেভাবে অবদান রেখেছেন আশা করি নড়াইলের মানুষের জন্যও এর চেয়েও বেশি অবদান রাখতে পারবেন। উনার সার্বিক সফলতা কামনা করছি।’

ক্রিকেট খেলার মধ্য দিয়ে সারা দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন মাশরাফি। এবার জন্মস্থান নড়াইলের জনগণের অফুরন্ত ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর সিলেটে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন মাশরাফি।

নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নড়াইলের লোহাগড়ার পথ-প্রান্তর চষে বেড়াচ্ছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বরণ করে নিয়েছেন মাশরাফিকে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও মাশরাফিকে নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। মাশরাফিকে একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমাচ্ছেন।

সোমবার নির্বাচনী পথসভায় মাশরাফি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক কথা বলিনি। বলতেও চাই না। খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা নিয়েই আপনাদের এখানে এসেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি সুযোগ দিয়েছেন। আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আপনাদের সহযোগিতায় একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ নড়াইল গড়ে তুলতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

নড়াইলে বিএনপি ও তাদের জোট থেকে মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তবে নড়াইলে দলমত-নির্বিশেষে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে মাশরাফি। যুগান্তর