মাশরাফি আজও ‘১’ এ বন্দি; খুলনার হার

জেমকন খুলনা এমনিতেই তারকাবহুল দল। মাশরাফি বিন মুর্তজা যোগ দেওয়ায় ওজন আরও বেড়েছে। তবে আজা তারা বেক্সিমকো ঢাকার দেওয়া ১৮০ রানের টার্গেটে পৌঁছতে ব্যর্থ। গত ম্যাচে ব্যাট হাতে ১ রান এবং বল হাতে ১ উইকেট পেয়েছিলেন মাশরাফি। আজও যেন তার পারফর্মেন্স ‘কপিপেস্ট’। টুর্নামেন্টে প্রথম ৫ উইকেট শিকার করেছেন স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে বোলিংয়ে নামা খুলনাকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন নাঈম। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে সাকিবকে ৪ ছক্কা মারেন। প্রথম দুই ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে। ওভারের শেষ দুই বলে মিড উইকেট দিয়ে। ওই ওভার থেকে আসে ২৬ রান। ১৭ বলে ৩৬ রান করে নাঈম শিকার হন শহীদুলের। প্রথম ২ ওভারে মাশরাফি দিয়েছিলেন কেবল ২ রান। আল আমিনের চার ও সাব্বিরের ছক্কায় তার তৃতীয় ওভার থেকে আসে ১৫ রান।

২৫ বলে ৩৬ করা আল আমিনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাজমুল। তারপর শুরু হয় ছন্দপতন। মাশরাফি তার শেষ ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিমকে। ১৪ বলে ৩১ রান করে বিদায় নেন আকবর। অনেকদিন পর সাব্বিরের ব্যাটে আসে রান। তার ৫৬ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার এবং ৩ ছক্কা। ‘হার্ডহিটার’ খেতাব পাওয়া মুক্তার আলী আজ সম্পূর্ণ বিপরীত ব্যাটিংয়ে ১২ বলে করেন ৬ রান! শেষ ৩ ওভারে ঢাকা তুলতে পারে মাত্র ১২ রান!

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। তারকাবহুল দলটির ইনিংসের দ্বিতীয় আর রবির প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন জাকির হাসান। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আজও ব্যর্থ। রবিউলকে মারতে গিয়ে ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। তৃতীয় উইকেটে জহুরুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ ধীর গতিতে রান তুলতে থাকেন। ২৬ বলে ২৩ রান করে আউট হন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৩ নম্বরে নেমে মাশরাফি আজও ১ রান করেন।

অন্যদিকে জহুরুল ৩৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। মুক্তারের এক ওভারে দুটি করে ছক্কা ও চার মেরে খেলায় কিছুটা উত্তেজনা ফিরিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তবে রুবেল হোসেনের শিকার হয়ে তার ৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস থামে। শেষ দিকে হাসান মাহমুদের ৯ বলে অপরাজিত ১৫ রান শুধু ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে রবি ৫ উইকেট পূরণ করে ফেলেন। ঢাকার জয়ে এই দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এখনও এগিয়ে খুলনা।

সূত্র: কালের কন্ঠ