মার্চেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মোবাশ্বির সামিহ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর গুলশান থেকে নিখোঁজ হওয়া স্কলাসটিকা স্কুলের ছাত্র মীর সামিহ মোবাশ্বিরের খোঁজ মেলেনি। ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও পরিবারের সদস্যরা জানতে পারছে না সামিহর খবর। গত ৭ মার্চ দেশের গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হয়।

সে সময় পুলিশ কর্মকর্তারাও বলেছিলেন, তারা সামিহর অবস্থান জানা ও উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ছেলেটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। কিন্তু সেই উদ্ধার আর হয়নি। সর্বশেষ গতকাল গুলশান জিম্মি ঘটনায় জড়িতদের একজন ছিল সামিহ এবং সেনা অভিযানে নিহত হয়। আইএসের পরিচয় দিয়ে একটি ওয়েবসাইটের প্রকাশিত ছবির সাথে সামিহর ছবি মিলে যায়।

স্কলাসটিকা স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল সম্পন্ন করেছে মীর সামিহ মোবাশ্বির। ‘এ’ লেভেলে ভর্তি হওয়ার জন্য সে গুলশানের এমিনেন্স কোচিং সেন্টারসহ দুটি কোচিং সেন্টারে পড়ছিল। পরিবারের সঙ্গে সে বনানী ডিওএইচএসের ৫ নম্বর সড়কের ৬৮/এ বাসার ৫/বি ফ্ল্যাটে থাকতো। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে সে কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশে গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়। যানজট থাকায় কোচিং সেন্টারের আগেই গাড়ি থেকে নেমে যায়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাড়িচালক জুয়েল তাকে কোচিং থেকে আনতে গেলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে সামিহর বাবা মীর এ হায়াত কবীর ওই দিনই গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১৮৪৮) দায়ের করেন। পুলিশ সামিহর খোঁজ করতে গিয়ে গুলশান এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পান সামিহ গাড়ি থেকে নামার পর একটি রিকশা নিয়ে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের দিকে চলে যাচ্ছে।

ওই জিডির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই নাজমুল সে সময় জানান, তারা ছেলেটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঘটনার দিন বিকাল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। আমরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

স্বেচ্ছায় সামিহ বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। সম্প্রতি সে ধর্মীয় উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।

পুলিশের কাছে যে সূত্র দাবি করেছিল যে সামিহ উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছিল, সেটাই সত্য বলে বিবেচিত হলো। অন্তত সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে তাই মনে হয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ