মারা গেল চীনের সেই মুন প্লান্ট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চাঁদে জন্মাবে গাছের চারা! হ্যাঁ, প্রথমবারের মতো চাঁদের বুকে বীজ থেকে গাছের চারা গজাতে সক্ষম হয়েছিল চীন। তবে তা এখন মৃত।

চীন বলেছে যে চাঁদের ওপর রোপণ করা তুলা বীজ থেকে যে চারা গজিয়েছিল চাঁদের পৃষ্ঠে চরম ঠাণ্ডা তাপমাত্রার ফলে তা মারা গেছে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পটির প্রধান লিউ হানলং বলেন, তুলাবীজ থেকে গজানো চারা রাখা হয়েছিল চাঁদে থাকা চন্দ্রযানের ভেতর একটি বন্ধ কনটেইনারে। সেখানে একটি বায়োস্ফিয়ার তৈরি করা হয় যাতে সেখানকার কৃত্রিম পরিবেশে গাছ নিজেই নিজের খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে পারে। তবে চরম ঠাণ্ডা তাপমাত্রার কারণে গাছটি শুকিয়ে যায় এবং একপর্যায়ে পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে মারা যায়।

হানলং বলেন, তাপমাত্রা মাইনাস ৬২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে যায় এবং চূড়ান্তভাবে তা ২২২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নামতে পারে।

তুলনামূলক বিচারে, ১৯৮৩ সালের ২১ জুলাই এ অ্যান্টার্কটিকার সোভিয়েত ভস্তক স্টেশনে পৃথিবীর সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২৮.৬ ফারেনহাইট।

গত ৩ জানুয়ারি চাঁদে অবতরণ করে চীনের রোবটিক যান ‘চ্যাং-ই-৪’ নামের চন্দ্রযান। চাঁদের উল্টো পিঠে এটাই ছিল প্রথম কোনো মহাকাশযানের অবতরণ।

ওই যানে ছিল চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন বিশ্লেষণের যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া ছিল মাটি, তুলা এবং আলুর বীজ, ফ্রুট ফ্লাই নামে এক ধরনের মাছির ডিম এবং খামি বা ইস্ট নামের ছত্রাক – যা দিয়ে পাউরুটি তৈরি হয়।

তুলাবীজ থেকে গজানো গাছের চারা রাখা হয়েছিল চন্দ্রযানের ভেতর একটি বন্ধ কনটেইনারে। সেখানে একটা বায়োস্ফিয়ার তৈরি করা হয় যাতে কৃত্রিম পরিবেশে একটি গাছ নিজেই নিজের খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি এই সপ্তাহে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল যখন ঘোষণা করা হয়েছিল যে সদ্য চাঁদের বুকে অবতরণ করা চন্দ্রযান চ্যাঙ-৪ এ থাকা তুলা গাছের বীজ থেকে চারা গজিয়েছে।