মামলা প্রত্যাহারের দাবি রাবি সাংবাদিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইয়াবা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জেরে তিন সাংবাদিকের নামে দায়ের করা ছাত্রলীগের মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত সাংবাদিকরা। রোববার দুপুর ২টায় বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইয়াবা সংক্রান্ত যে খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ বা প্রচার হয়েছে তার সম্পূর্ণ তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক অধিদপ্তরের। সাংবাদিকরা শুধু ঘটনাটি মানুষের সামনে তুলে ধরেছে। যদি মামলা করতেই হয় তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে করা উচিত। হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠতার জায়গা থেকে সরিয়ে আনা যাবে না। সত্য সন্ধানে সাংবাদিকরা সর্বদা ভূমিকা রাখবে।

বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার এসব অপরাধের বিচার চেয়েছি। কিন্তু কোন বিচার পাইনি। এক সাংবাদিককে মারধরের কারণে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিস্কার করা হলেও এখন কিছুদিন পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হচ্ছে তার প্রমাণ দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজ রনির সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি তাসলিমুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, রাবিসাসের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুস্তাফিজ মিশু, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কায়কোবাদ খান, সা. সম্পাদক হুসাইন মিঠু প্রমুখ।

মানববন্ধনে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে), রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট ও রাবি প্রগতিশীল ছাত্রজোট কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এ সময় প্রায় অর্ধ শতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গত ৯ ও ১০ নভেম্বর রাবি ও রুয়েটের ৪৪জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইয়াবা চক্রে জড়িত থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। ওই চক্রে ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে ১৬ নভেম্বর ছাত্রলীগের দুই নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ও রবিউল আউয়াল মিল্টন বাদী হয়ে দৈনিক যুগান্তরের ও স্থানীয় সোনালী সংবাদের রাবি প্রতিনিধি হাসান আদিব, এসএ টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি জিয়াউল গণি সেলিম ও ক্যামেরাপার্সন সাঈদের নামে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মানহানি মামলা করেন।
স/শ