মাদকাসক্ত চিহ্নিত করতে ডোপ টেস্ট কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ

মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আদলে ডোপ টেস্ট কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে ডোপ টেস্ট বা বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু। বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, ডা. আফছারুল আমীন, হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও রুমানা আলী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বেশ কিছু সেক্টরে ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে। আমরা চাই ব্যাপক পরিসরে সকল সেক্টরে ডোপ টেস্ট চালু করা হোক। তিনি বলেন, বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ডোপ টেস্টের কাজটি করছে। কিন্তু আমরা চাই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মতো ডোপ টেস্টের জন্য আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচাতে হলে মাদক নির্মূলের কোনও বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কমিটি সূত্র জানায়, চলতি সংসদের শুরু থেকে সংসদীয় কমিটি ডোট টেস্টের বিষয়টি তদারকি করছে। কমিটির পক্ষ থেকে মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করতে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র একটি সংস্থা গঠনের সুপারিশ করা হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিডিটিআই) অথবা বাংলাদেশ ইললিগ্যাল ড্রাগ ইউজার টেস্টিং অথরিটি (বিআইডিইউটিএ) নামকরণের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগসহ অন্যান্য যে সকল দপ্তরে ডোপ টেস্ট বা বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করেনি, সেই সকল দপ্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবারো চিঠি পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে ডোপ টেস্টে পুরোপুরি গতি পায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে পরীক্ষার কিট সংকটের আলোচনাও হয়। পরে বৈঠকে ডোপ টেস্ট করার কিট পর্যাপ্ত সংখ্যক সরবরাহ নিশ্চিত করার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের জন্য মাঠ পর্যায়ে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সভাপতি বলেন, আমরা আনসার-ভিডিপিদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিতে বলেছি। যেন, তারা স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশ প্রশাসনকে পুরোপুরি সহযোগিতা করতে পারে। মাদক-জঙ্গি দমনের পাশাপাশি জামাত শিবিরের তালিমের নামে গোপন বৈঠকের তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ