বুধবার , ১৮ মে ২০২২ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মাটির নীচে পাঁচশ’ বাঙ্কার, হামলা মোকাবিলায় ফিনল্যান্ডের ‘প্রস্তুতি’

Paris
মে ১৮, ২০২২ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ 

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিনল্যান্ড। এরই মধ্যে দেশটির জাতীয় সংসদে ভোটাভুটিতে বিষয়টি পাস হয়েছে।

তবে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তে চরম ক্ষেপেছে রাশিয়া। কেননা, দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে রাশিয়ার। এরই মধ্যে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটিতে সরবরাহকৃত রুশ বিদ্যুৎ।

এদিকে, যেকোনও ধরনের হুমকি উপেক্ষা করেই ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় ফিনল্যান্ড। এরই মধ্যে বহিঃশক্তির যেকোনও হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দেশটি।

এই পরিস্থিতিতে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমল থেকে তৈরি করা মাটির নীচের বাঙ্কারগুলোর কথা প্রকাশ্যে এসেছে। হেলসিঙ্কির ফ্রানজেনিনকাটু স্ট্রিটে বহু প্রাচীন লোহার একটি ঘর রয়েছে। দেওয়ালে নানা গ্রাফিটি, অপরিচ্ছন্ন এই ঘরটি বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই, ভিতরে প্রযুক্তির কী অসাধারণ নিদর্শন অপেক্ষা করে রয়েছে। ঘরটিতে ঢোকার জন্য একটিমাত্র দরজা। ভিতরে ঢুকলেই সিঁড়ি। নামলে মাটির ২৫ মিটার নীচে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তারপর আবার দু’টি ইস্পাতের তৈরি দরজা। এতটাই ভারী যে, দু’জন শক্তিশালী মানুষও খুলতে পারবেন না। সেই দরজা পেরোলে শুরু হবে সুড়ঙ্গ। যার শেষ প্রান্তে অপেক্ষা করছে আরেক হেলসিঙ্কি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ফিনল্যান্ড আক্রমণ করেছিল রাশিয়া। ১৯৩৯-৪০ সালে সাড়ে তিন মাস ধরে চলা সেই ‘উইন্টার ওয়ার’-এ ফিনল্যান্ডের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। আকাশপথে রুশ হামলায় বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানী হেলসিঙ্কি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে হেলসিঙ্কির বাসিন্দাদের জন্য মাটির তলায় বাঙ্কার তৈরি করা শুরু করেন ফিনিশ ইঞ্জিনিয়াররা। ২০০ মাইল ধরে বিস্তৃত মাটির নীচের এই এলাকাটিতে অন্তত ৫০০ বাঙ্কার রয়েছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ৯ লাখ মানুষের স্থান হবে এই বাঙ্কারগুলোতে। ফলে সহজেই আশ্রয় পাবেন শহরের ৬ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা। বসবাসের উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখার ব্যবস্থা রয়েছে বাঙ্কারগুলোতে। রয়েছে উপযুক্ত বর্জ্য পরিসেবাও। হকি খেলার স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলও রয়েছে মাটির নীচের এই ‘খুদে শহরে’।

রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবে শঙ্কিত উত্তর-পূর্ব ইউরোপের বহু দেশই। তবে ইতোমধ্যে ‘প্রস্তুতি’ নিয়ে রাখছে ফিনল্যান্ড।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক