সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাতের আকাশে তাকিয়ে যে হাজার হাজার জ্বলতে থাকা তারার দেখা পাই তারা প্রাচীনকাল থেকেই তাদের দিকে টানছে আমাদের। এই টানে মাধ্যাকর্ষণ ছাড়িয়ে একদিন মানুষ জয় করেছে মহাশূন্যকে। শূন্যে বেঁধেছে ঘর, স্পেস স্টেশন। সেখান থেকে আমাদের পৃথিবীকে একদমই ভিন্নরকম দেখায়। পৃথিবীর পাহাড়-সাগর অথবা ঘূর্ণিঝড় এদের রূপ একদমই আলাদা যেন। মহাকাশচারীরা সেই প্রথম যাত্রা থেকেই অজস্র ছবি তুলেছেন। তাদের ভেতর থেকে নির্বাচিত কিছু ছবি নিয়ে আজকের আয়োজন।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)-র পর্যবেক্ষণকারী মহাকাশযান এনভিস্যাটের তোলা ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্র, যা আফ্রিকার ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর ভেতর একটা। এর সীমান্তে আছে গিনি আর সেনেগাল। নিচের দিকের সাদা রঙের জায়গাটা বিসাউ, গিনি বিসাউয়ের রাজধানী ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)-র এই স্যাটেলাইটটির কাজ হল মেরুর সাগরে বরফের পুরুত্ব এবং এই বিশাল বরফের স্তরে কোনো পরিবর্তন এল কিনা, আসলে তা নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করবে কিনা তা নির্ধারণ করা ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল পানির নীচের তেলের খনিতে বিস্ফোরণের কারণে প্রচুর তেল ছড়িয়ে পড়ে। তিন মাস ধরে মেক্সিকো উপসাগরে এই তেল নির্গমনে মিসিসিপি তেলের ক্যানভাসে পরিণত হয়। সে সময় নাসার একটি মহাকাশযান থেকে নেওয়া ছবি টাইফুন ঝড়ের এই তিনটি বোনের একটা বোফা (উপরে) যা উপকূলীয় ছোট ঝড় তৈড়ি করেছিল। টাইফুন মারিয়া (নীচে ডানে) মোটামুটি শক্ত ধরনের ছিল। বলা হয়ে থাকে তাইফুন সাওমাই (নীচে বামে) চীনের মাটিতে আছড়ে পড়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। এটা ফিলিপাইন তাইওয়ার আর চীনের পূর্ব উপকূলে আঘাত করে, এতে অন্তত ৫০০ জনের জীবনহানি ঘটে, ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয় ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে তোলা এই ছবিটি দেখলে মনে হয় যেন পৃথিবীকে কেউ সবুজ আগুনে ঝলসে দিচ্ছে। ছবিটি দক্ষিণ মেরুর মেরুপ্রভা বা অরোরা ২০১১ সালে আগস্টের ২২ তারিখ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে তোলা। হারিকেন আইরিন ক্যারিবীয় অঞ্চল পার করার সময় ছবিটি তোলা। এর আঘাতে ৪৯ জনের মৃত্যু আর অন্তত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয় নর্থ ক্যারোলিনার সৈকতে হারিকেন আইরিনের পানি ঢুকছে। দ্বীপ থেকে রাস্তা হয়ে পানির বিধ্বংসী স্রোত মূল শহরের দিকে এগিয়ে চলেছে মহাকাশচারীরা যখন রাতের পৃথিবীর দিকে তাকায়, তখন রাতের আলোগুলোকে তারার আলোর মতো লাগে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে উত্তর পশ্চিম ইউরোপ। বাম দিকের কোনায় উজ্জ্বল জায়গাটা লন্ডন। এছাড়াও ছবিতে আছে ইংলিশ চ্যানেলের পাশে প্যারিস শহর। আছে আমস্টারডাম আর ব্রাসেলস। উপরের দিকে ডান কোনায় অন্ধকার অংশটুকু আল্পস রূপালী সবুজ জায়গাটা অরোরা বোরিয়ালিস । ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে তোলা হয় এই ছবিটি। সবচেয়ে বড় উজ্জ্বল বিন্দুটি শিকাগো। শিকাগোর ডানদিকে মাকড়সার মতো দেখতে শহরটি সেইন্ট লুইস ১৯৮৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। মহাশূন্যে একা ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা নেন ব্রাইস ম্যাকক্যান্ডেলস। নাইট্রোজেন চালিত জেট ব্যাকপ্যাক দিয়ে নিজের যান থেকে ৩২০ ফিট দূরে ঘুরে আসেন তিনি আইভালো নদীকে স্বর্ণের নদী ও বলা হয়। ১৮০০ সালের দিকে এর আশেপাশে সোনা-সন্ধানীরা অনেক ঘুরেছে। সোনার নদী আইভালো তার নীল রঙ নিয়ে ফিনল্যান্ডের ভেতর থেকে চলছে। বরফে ঢাকা এই জায়গাটা মহা পর্বত এভারেস্ট আর তার আশেপাশের শৃঙ্গগুলোর। ২০১১ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে একজন মহাকাশচারী ছবিটি তুলেছিলেন। এভারেস্টের উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে ৮৮৪৮ মিটার ছবির উপরের দিকে ইন্দোনেশিয়া আর নীচের দিকে অস্ট্রেলিয়ার উপকূল এটি একটি স্পেস শাটল। শাটলের নিচে নীল স্তরটা বায়ুমণ্ডলের মেসোস্ফিয়ার। সাদা অংশ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার, তার নীচে ট্রপোস্ফিয়ার, সবশেষে কমলা রঙের এটমোস্ফিয়ার। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে তোলা ইতালীয় প্রমোদতরী কোস্টা কনকর্ডিয়া ২০১২ সালের জানুয়ারিতে এক ডুবো পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে একদিকে হেলে কিছুটা ডুবে যায়। এতে প্রায় চার হাজার যাত্রী ছিল। নিহত হয়েছিল ৩২ জন। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করায় অনেকের প্রাণরক্ষা সম্ভব হয়। ছবিটি ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারী তোলা। দেখে মনে হবে কেউ বাংলা চার বা ইংরেজির আট এঁকে রেখেছে। কিন্তু এটা প্রকৃতির কারসাজি। পানির ভেতরে ফাইটোপ্ল্যাংকটনের এই নীল রঙের সৌন্দর্য ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের ৬০০ কিলোমিটার উপর থেকে বরফের অলিগলি। রাশিয়ার বেরিং সাগরের উপরে মেঘের এ ধরনের গঠনকে মেঘের রাস্তা বা বরফের রাস্তা বলা হয়। এই মেঘে বাতাসে ভেসে আসা তুষার থাকে এটা মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ছবি। মহাকাশচারী জন গ্লেন ফ্লোরিডার এই ছবিটি তুলেছিলেন তার ঐতিহাসিক কক্ষপথ ভ্রমণের সময়। ১৯৬২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জন তিনবার পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে আসেন এক দেখাতেই এটাকে চেনা যাবে, যদি কৃত্রিম দ্বীপটার দিকে তাকানো হয়। হ্যাঁ, এটা দুবাই। বাম দিকে উপরে খেজুরশাখার আদলে করা দ্বীপ, কেন্দ্রের ডানদিকে বেশ উজ্জ্বল বুর্জ খলিফা (৮২৮ মিটার) দেখা যাচ্ছে পান্নাসবুজ এই জায়গাটি আয়ারল্যান্ড। সহনীয় তাপমাত্রা আর বৃষ্টির প্রাচুর্য্য আয়ারল্যান্ডকে এমন সবুজ চেহারা দিয়েছে। মেঘ, কুয়াশা আর আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ার মাঝে এই সবুজ দ্বীপের ছবিটি ২০১০ সালের অক্টোবরে তুলেছিল নাসার একুয়া স্যাটেলাইট স্যাটেলাইট থেকে তোলা এই ছবি দেখলে মনে হবে স্থল আর জল যেন জায়গা বদল করেছে। আগ্নেয়গিরির দ্বীপ তিনাকুলাকে দেখা যাচ্ছে তরল সবুজাভ রঙে দেখে মনে হবে ভ্যান গঁগের আঁকা কোনো ছবি। নাসা এই ছবিটার নাম দিয়েছে ‘অবিরাম মহাসাগর’ (Perpetual Ocean) ছবিটিতে ২০০৫ সালের জুন থেকে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্রোতের অবস্থা একসাথে দেখা যাচ্ছে। ছবিটি তোলা হয়েছিল স্রোতের দিক কিভাবে পরিবর্তিত হয় তা দেখার জন্য অদ্ভুত সবুজ রঙের এই ঘূর্ণিগুলো পূর্ব এন্টার্কটিকার উপকূলের। এই ছবিটি বৈজ্ঞানিক রহস্যের সৃষ্টি করেছিল। সবুজ ঘূর্ণির এটাই প্রথম ছবি। এটা সাগরের কোনো ফাইটোপ্ল্যাংকটন বা শৈবাল হতে পারত। কিন্তু স্ট্যানফোর্ডের সামুদ্রিক জীব বিশেষজ্ঞ নাসাকে জানান, তিনি নিশ্চিত হতে পারছেন না। কারণ মনে হচ্ছে শৈবাল সাগরে ভাসছেনা, বরং বরফে লেগে আছে। বিজ্ঞানীরা তখন জাহাজ নিয়ে গিয়ে নমুনা নিয়ে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পুরো জায়গাটা যেন সবুজ বরফের প্যানকেক, সেই প্যানকেক আবার সবুজ পানিতে ভাসছে উজ্জ্বল এই বিন্দুগুলো বিভিন্ন সাগরে অবস্থিত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। এরা সাগরের যেকোনো অস্বাভাবিকতার সাবধানবাণী স্থল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। একে অন্যের সাথে মিলে এরা অবিচ্ছেদ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামি ২৩০,০০০ মানুষের জীবন নিয়ে গেলে এর কার্যক্রম প্রসারিত করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহর সাংহাই। প্রায় ২৪ মিলিয়নের মানুষের বাস এ শহরে লং এক্সপোজারে পৃথিবীকে ঘোলাটে করে তারাকে দেখতে চেয়েছিলেন ডন পেটিট কলম্বিয়া হিমবাহ পৃথিবীর দ্রুততম পরিবর্তিত হওয়া হিমবাহগুলোর একটি। ফলস-কালারে তোলা ছবিটায় বরফ আর তুষার সবুজাভ, গাছপালা সবুজ, মেঘ সাদা আর হালকা কমলা। সাগর গাড় নীল। ছাইরঙের পাথরের নুড়ি, আর অন্য পাথর বাদামি একাকীত্বে ভোগা এক উল্কা ঝরে পড়তে যাচ্ছে পৃথিবীতে। সীমারেখায় ফ্লোরিডা শহরের আলো দেখা যাচ্ছে। ছবিটি তোলেন ডন পেটিট। দশকের পর দশক ধরে পাইলটরা লাল রঙের উজ্জ্বল ধোঁয়াটিকে দেখে নানা রহস্যের জ্বাল বুনেছে মনে। ১৯৮৯ সালে প্রথমবার এই লাল ধোঁয়ার ছবি তোলা সম্ভব হয়। পরে জানা যায় এগুলো একধরনের বৈদ্যুতিক ক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি। নাম রেড স্প্রাইটস । নিকটস্থ কোনো হিমবাহ থেকে ভেঙে এসে বরফখণ্ড সাগরে আলোকছটা তৈরি করছে। ২০০৫ সালে টেরা স্যাটেলাইট থেকে তোলা এই ছবিতে গ্রিনল্যান্ডের বরফ খণ্ড দেখা যাচ্ছে। ছোট ছোট এই বরফগুলো জাহাজের জন্য দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে। টাইটানিকের সেই বিখ্যাত বরফখণ্ডটির জন্মও এখানে নীলচে সবুজ আঁকাবাঁকা ফিতেগুলো মিসিসিপি নদী। চারদিকে আছে ব্লক ব্লক মাঠ আর শহর। এই ছবিটি নাসার একটি প্রতিযোগিতায় জেতা শীর্ষ পাঁচ ছবির একটি বর্ণিল অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রথম খনিজ মানচিত্র। পাথর আর মাটিতে থাকা খনিজ দেখানো হয়েছে হারিকেন এন্ড্রু। ১৯৯২ এই ঝড়ে বাতাসের গতি এতটাই প্রবল ছিল যে ঝড়ের গতি নির্ধারণকারী যন্ত্রপাতিও নষ্ট করে দিয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতি দাড়িয়েছিল ২৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ছবিতে হারিকেন এন্ড্রুর এগিয়ে যাওয়া দেখানো হয়েছে। ডানে ২৩ আগস্টের, মাঝে ২৪ আগস্টের, বামে ২৫ আগস্টের অবস্থান মেঘের বাসা, আমাজনের জঙ্গলের উপর মেঘগুলো দাঁড়িয়ে যেন বিশ্রাম নিচ্ছে দুটো এলাকাকে আলাদা করেছে পাহাড়। পাহাড়ে বাধা পেয়ে মেঘগুলো বাম দিকে বৃষ্টি ঝরায়, ফলে উজ্জ্বল সবুজে ভরা এদিকটা। অন্যদিকে পাহাড় পেরিয়ে মেঘ ডানদিকে আসতে পারে না। এদিকে মরুর উষর পরিবেশ আমেরিকা শহরের আলো উজ্জ্বল গ্রহ, ছবিটা তুলেছিলেন এপোলো ১১ এর মহাকাশচারীরা। ১৬ জুলাই ১৯৬৯ সালে। চারদিন পর বাজ অলড্রিন আর নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে পা রাখেন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধুলোবালি, ধোঁয়া আর অন্যান্য বস্তুচূর্ণের ঘূর্ণন। ধুলোর রঙ লাল, ধোঁয়া সবুজাভ, আর সাইক্লোন নীলচে। সাদা অংশ সালফেট যা আগ্নেয়গিরি থেকে আসে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ, দেখে মনে হবে কোনো প্রাণীর মুখ। কিন্তু জনবিরল অস্ট্রেলিয়ায় এত আলো কেন? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলোগুলো দাবানলের আগুনের মরুভূমিতে তুষার। পৃথিবীর বৃহত্তম ও উষ্ণতম চীনের এই মরুভূমিতে এক ঝড়ের পর তুষারের চাদরে ঢেকে গিয়েছিল স্বপ্নের মতো মেঘেদের রাস্তা। দক্ষিণ পশ্চিম ভ্যাংক্যুবার থেকে তোলা এই ছবির মেঘগুলো কৃত্রিম। কৃষিকাজের জন্য প্লেনের সাহায্যে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করার জন্য আকাশে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এগুলোকে আশ্রয় করে মেঘ সৃষ্টি হয় বেটাউন টেক্স, আমেরিকার সর্ববৃহৎ তেল শোধনাগার। বিভিন্নরকম আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর মিলিত ছবি হওয়ায় বাড়িঘর যন্ত্রপাতি সাদা ও ছাইরং, পানি কালচে নীল, আর গাছপালা লাল দেখাচ্ছে। আলাস্কার উপকূলের বরফে মাকড়সার জালের মতো ফাটল। বিশেষজ্ঞদের মতে জানুয়ারিতে এই অঞ্চলের উচ্চ বায়ুচাপ, তাপমাত্রা আর বাতাসের ফলে তৈরি হওয়া স্রোত এই ফাটল তৈরি করেছে স্পেস স্টেশন থেকে দেখা সূর্যোদয়। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে সূর্যোদয় হওয়ার দৃশ্য স্বর্গীয় হলেও পৃথিবীর মানুষ তা বেশিক্ষণ ধরে দেখতে পায় না। স্পেস স্টেশনে কক্ষপথজনিত সুবিধা থাকার জোরে নভোচারীরা এই দৃশ্য ৪৫ মিনিট ধরে দেখে ভয়ংকর টর্নেডোর পর ওকাহামা শহরের ফলস-কালার ছবি। এখানে গাছকে লাল, বাড়িঘর রাস্তাকে নীলচে রঙের দেখা যাচ্ছে মহাশূন্য মহা রহস্যে ঘেরা। তার নিঃসঙ্গ সৌন্দর্য বর্ণনাতীত। কিন্তু রূপ-লাবণ্যের দৌড়ে আমাদের চেনা অচেনা পৃথিবীটাও কম যায় না।