মহামারী নিয়ন্ত্রণে কোয়ারেন্টিন কার্যকরের আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজনের সঠিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

সংস্থার জরুরি ডা. মাইকেল রায়ান উত্তরাঞ্চলীয় হ্যাম্পশায়ারে সংক্রমণ হার বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

তিনি বলেন, তাকে যদি একটি আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়; তবে তিনি নিশ্চিত সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে উপযুক্ত সময়ের জন্য কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়ন করার কথা বলতেন।

জেনেভা থেকে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে তিনি আরও বলেন, পদ্ধতিগতভাবে কোথাও এ কোয়ারেন্টিন মানা হচ্ছে বলে আমি মনে করি না। এ কারণে সংক্রমণের ধারা উচ্চ হচ্ছে।

রায়ান আরও বলেন, জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অঞ্চলের ৪৮ দেশের অর্ধেকেরও বেশিতে গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ হার ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।

তবে আশার কথা হলো– মৃত্যু ও মারাত্মক অসুস্থতার হার চলতি বছরের প্রথম দিকের মতো উচ্চ নয়।

তিনি বলেন, এখন তরুণরা অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসায় তারা সুস্থও হয়ে উঠছে।

সংস্থা প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস সংক্রমণ রোধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু আশার কথা হলো–– আমরা যদি সম্মিলিত পদক্ষেপ নেই তা হলে সংক্রমণ কমিয়ে আনতে পারব।

এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সংস্থাটি বলছে, মানব শরীরে ৪২টি টিকার পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে ১০টি পরীক্ষার তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।