মহাদেবপুরে বাঁধার মুখে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারেনি প্রধান শিক্ষক

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:
মহাদেবপুরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের বাধার মুখে ২৮ দিনেও বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারেননি এক প্রধান শিক্ষক। জানা গেছে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী হয়ে আসা প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তার এর গত ২৩ জানুয়ারী বিদ্যালয়ে যোগদানের অফিস আদেশ থাকলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাকে বিদ্যালয় প্রঙ্গনে প্রবেশ করতে দেয়নি।

মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শারমিন আক্তারকে বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তারের নানা অনিয়ম ও  বির্তকিত শিক্ষক হিসাবে অভিযুক্ত করে তাকে স্কুলে যোগদান করতে দিচ্ছেন না অভিভাবক ও কমিটির সদস্যগন। অভিভাবক ও কমিটির সদস্যরা প্রতিদিন স্কুল চলাকলে প্রতিষ্ঠানে এসে বসে থাকেন এবং নিয়মিক তারা মানববন্ধন করে এই শিক্ষককে অন্যত্র বদলী করে সাবেক প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানকে স্ব-পদে বহাল রাখার দাবী করে আসছেন।

এর ধারাবাহিকতায় রবিবার সকাল ১১ টায় প্রতিষ্ঠানের মাঠে মানববন্ধন করেন  শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা ও স্কুল কমিটির সদস্যগণরা। মানববন্ধনে কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন শারমিন আক্তার বিজয়পুর বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা কালিন নানা অনিয়ম দূরনীতি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসোভনীয় আচরনের করতেন। এমন অভিযোগে শালিশি বৈঠকে তার অনিয়ম ও দূরনীতি প্রমানিত হলে শাস্তি সরুপ ১৫ জানুয়ারী তারিখে তাকে বাড়ি থেকে ২০ কি:মি: দূরে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়।

কিন্তু এই বদলী আদেশের ৫ দিনের মধ্যে বাড়ি থেকে ২’শ মিটার দুরের বিদ্যালয়ে বদলী হয়ে আসেন। আর এতে কমিটির সদস্য, অভিভাবগ ও শিক্ষার্থীরা দারুণ উৎকন্ঠায় পড়েছেন। শারমিন আক্তার এই বিদ্যালয়ে যোগদান করলে শিক্ষার মানক্ষুন্ন হবে তাই শারমিন আক্তার এই বিদ্যালয়ে যোগদান করলে সকল শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয় থেকে অন্যত্র ভর্তি হবেন বলে জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এব্যপারে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ আফান জানান, এই প্রতিষ্ঠান আমাদের আমাদের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান। এটিকে টিকিয়ে রাখতে আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। শারমিন আক্তার এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করলে এ প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র ছাত্রীরা অন্যত্র ভর্তি হবে। এই প্রতিষ্ঠান হয়ে যাবে অচল। তাই আমরা শারমিন আখতারকে এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানে বাঁধা দিচ্ছে। শারমিন ব্যাতিত যেকোন শিক্ষক আসলে এ প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা পবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।

প্রধান শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, একটি মহল ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অন্যায় ভাবে তাকে বিদ্যালয়ে যোগদানে বাধা দিচ্ছে। আমি এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি তা মানতে প্রস্তুত।

মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আল মামুনার রশিদ জানান, শারমিন আক্তারকে ওই বিদ্যাল কমিটি ও অভিভাবগ চাচ্ছেন না। তারা শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। এই আন্দোলনের মুখে আমাদের আর কি করার। বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।

স/আ