ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশুরার সিয়াম পালন করতেন এবং অন্যদেরকে সিয়াম পালন করতে বলেছিলেন, তখন সাহাবিগণ বললেন— হে আল্লাহর রাসুল! এ দিনকে তো ইহুদি-খ্রিস্টানরা সম্মান করে? তখন নবিজি বললেন- তাহলে আগামী বছর আমরা ৯ তারিখেও সিয়াম পালন করবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু পরবর্তী বছর আসার পূর্বেই নবিজির ইন্তেকাল হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম, হা. নং ১১৩৪)
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেছেন— সবচেয়ে উত্তম হয়, দশ তারিখের সাথে মিলিয়ে আগে-পরে আরো দুটি রোজা রাখা। নয়, দশ ও এগারো সর্বমোট তিনটি রোযা রাখা। কারণ, পুরো মুহাররম মাসব্যাপি রোযার কথা তো সহিহ হাদিসেই আছে। (ফাতহুল বারি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৪৬)
উপরিউক্ত বিষয়গুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শতভাগ বিশুদ্ধ সূত্রে মহররম ও আশুরা দিবসের গুরুত্ব, ফজিলত ও আমল হিসেবে প্রমাণিত। এর অতিরিক্ত আমাদের সমাজে যেসব কেচ্ছা-কাহিনি ও রুসুম-রেওয়াজ আছে, তার অধিকাংশই জাল ও মিথ্যা কিংবা অনির্ভরযোগ্য ও দুর্বল বর্ণনা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে দ্বীন পালনের তাওফিক দান করুন, আমিন।
লেখক: তরুণ আলেম ও চিন্তক, শিক্ষার্থী, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, মিসর
সূত্রঃ যুগান্তর