‘মঞ্জুবাড়ি’ থেকে কবির শেষ বিদায়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সদ্য প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে গোসল করানোর পর আত্মীয়-স্বজনদের দেখানো শেষে ‘মঞ্জুবাড়ি’ থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত দশটার দিকে গুলশান ৬ নম্বর রোডের ৮ নম্বর ‘মঞ্জুবাড়ি’ নামে কবির নিজ বাড়ি থেকে তাকে হিমঘরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কবির মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার গুলশানের নিজ বাড়িতে গোসল করাতে নিয়ে আসা হয়। গোসল শেষে লেখকের মরদেহ আবার ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে রাখা হয়েছে।

 

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় তেজগাঁও চ্যানেল আই’র প্রাঙ্গণে কবির প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে নেওয়া হবে বাংলা একাডেমিতে। সেখান থেকে বরেণ্য এ সাহিত্যিকের মরদেহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

 

এরপর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে কুড়িগ্রাম কলেজের পাশেই সব্যসাচী এ লেখককে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

 

বিকেল সাড়ে ৫টার পর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সবচেয়ে কম বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

 

১৯৩৫ সালে কুড়িগ্রামে জন্ম নেওয়া সৈয়দ হককে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সব শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তিনি পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার।

সূত্র: বাংলানিউজ