সোমবার , ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ফাণ্ড না থাকার অজুহাতে পিএমজি’র ১২ কর্মচারীকে ছাঁটাই

Paris
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১ ৮:৩১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফান্ড নেই এমন কথায় ১২ কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে রাজশাহী পোস্টমাস্টার জেনারেল অফিস (পিএমজি)। এমন অবস্থায় সংসার নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন ওই কর্মীচারীরা। যদিও এবিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই পিএমজি কর্তৃপক্ষের।

ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা জানান- ‘এই প্রথম ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটলো ফান্ড নেই বলে। তবে বিষয়টি দুঃজনক বলছেন তারা।’ কেউ কেউ বলছেন- ১২ কর্মচারীই ছিলেন দক্ষ। যে পদগুলোতে তারা কাজ করতেন, সেগুলো ফাঁকা। যদিও ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ জানায়- বিভাগীয় শহর এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিক ৬০০ টাকা ও অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিক ৫৫০ টাকা মজুরি পাবে। মজুরি বৃদ্ধির পরে ১২ কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই মজুরি বৃদ্ধির খবরে ওই কর্মচারীরা বেশ আনন্দিত হয়েছিলেন। যখন আনন্দে বুক ভরলো তখনই চাকরিটাই চলে গেল। ছাটাই হওয়া কর্মচারীরা এই পরিস্থিতিকে তাদের জন্য চরম বিড়ম্বনার মনে করছেন।

ছাঁটাইকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- মালি দুজন, ক্লাম্বার একজন, ড্রাফম্যান ১ জন, মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ডসহ বাকিরা পিয়ন পদে ছিলেন। তারা ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা বেতনের দৈনিক মুজরি ভিত্তিক কর্মচারী ছিলেন। এই কাজেই সংসার চলতো তাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১৩ জানুয়ারি কোন রকম নোটিশ ছাড়া বিভিন্ন পদের ১২ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। পিএমজির সুপার মাহবুব হোসেন তাদের অফিস কক্ষে ডেকে বলেন, ফান্ড সঙ্কটের কারণে আপনাদের ছাটাই করা হয়েছে। বাজে আসলে আরা ডাকা হবে। এমন ফান্ড চক্রান্তে পড়া ১২ কর্মচারী জীবিকা নিয়ে পড়েছে বিপাকে। ছাটাইকৃত কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ ৪০ বছর বয়সেরও রয়েছেন। এমন অবস্থায় অন্য কোথায় কাজ খুঁজে যোগদান তাদের কাছে দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দাবি কর্মহীন এমন মানবতের জীবন থেকে তারা মুক্তি চান। পিএমজি অফিসের ৪০ বছর বয়সের বাবু। তিনি প্রায় ২০ ধরে পিএমজিতে কাজ করেছেন। কখন অফিসারের বাসায়, কখন গেটে। আবারও কখনও পিএমজি অফিসে। সর্বশেষ এই অফিসটিতে মালি হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।

বাবু জানান, ‘সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ আমরা পাঁচজন। কাজ নাই অনেক দিন হলো। বেকার অবস্থায় আছি। স্যাররা বলেছেন, বাজেট আসলে ডাকবে, আর না আসলে নাই।’ মালি বাবুর মতো বেকার হয়ে পড়েছেন, মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ড শাহরিয়ার, ইঞ্জিনিয়ার কাইজার, পিয়ন সুমন, হেলেন আক্তার ও ফৌজিয়া আক্তার, কম্পিউটার ওপারেটর মোশাররফ হোসেন ও ইশতিয়াক আহম্মেদ, মালি সাগর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী জানান- দুই সপ্তার বেশি সময় ধরে বেকার অবস্থায় রয়েছে। তবে পিএমজি অফিসের ইতিহাসে এমনভাবে ছাঁটাইয়ের কোনো নজির নেই। এই প্রথম তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন- তাদের বেতন বাড়ার খবরটি শুনেছেন। তারা মনে করেছিলেন-বেতন বাড়লে তারা স্বাচ্ছন্দে সংসার চালাতে পারবেন। কিন্তু এখন স্বাচ্ছ্যন্দ তো দূরের কথা, চাকরিটাই চলে গেল। বিষয়টি নিয়ে সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল (মে. ও অভি.) মোহা. এনামুল হক বলেন- করোনার কারণে বাজেট আসেনি, তাই ১২ কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর