মঙ্গলবার শপথ নিচ্ছেন মোকাব্বির খান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আগামীকাল মঙ্গলবার শপথ নেবেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত ওই সংসদ সদস্যের ইচ্ছানুযায়ী ইতোমধ্যে শপথ অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে সংসদ সচিবালয়। দুপুর ১২টায় সংসদ ভবনস্থ স্পিকারের দপ্তরে তাকে শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি।

এদিকে গত ৭ মার্চ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ গ্রহণ করায় মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত ঐক্যফ্রন্টের আরেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ-এর সংসদ সদস্য বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি পাঠানোর কথা দলের পক্ষ থেকে জানানো হলেও এখনো সংসদ সচিবালয়ে সেই চিঠি পৌঁছায়নি। বরং দলীয় নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান। তিনি বলেন, আমি গণফোরামের সিদ্ধান্তেই শপথ নিচ্ছি। আমাকে পার্টি থেকে শপথ নিতে বলা হয়েছে। সেই হিসেবে আমি সোমবার স্পিকারকে চিঠি পাঠিয়েছি।

ওই চিঠির প্রেক্ষিতে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পিকারের একান্ত সচিব এমএ কামাল বিল্লাহ। এর আগে গণফোরামের নির্বাচিত ওই দুই সংসদ সদস্যের চিঠির প্রেক্ষিতে গত ৭ মার্চ শপথ অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে সংসদ সচিবালয়। কিন্ত আগের দিন ৬ মার্চ আরেক চিঠি মোকাব্বির খান পরে শপথ নিবেন বলে স্পিকারকে জানান। ফলে ওইদিন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর একাই শপথ নেন। এরপর ওই সংসদ সদস্যকে দল থেকে বহিস্কার করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। সর্বশেষ গত শনিবার গণফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ এবং সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ভঙ্গের পাশাপাশি নৈতিকতাও বিসর্জন দিয়েছেন’-এমন অভিযোগ এনে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে স্পিকার ও সিইসির কাছে পাঠানোর জন্য চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে সোমবার পর্যন্ত তেমন কোন চিঠি সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছায়নি।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮জন প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরমধ্যে ৬জন বিএনপি’র ও দুইজন গণফোরামের। বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন ও মোকাব্বির খান সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তাদের জোটের ভরাডুবি হওয়ায় নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে তারা শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করেন। গত ৩ জানুয়ারি অন্যান্যদের সঙ্গে তারা শপথ না নিলেও ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন সুলতান মনসুর। বাকী ৬ জন নির্বাচিত সদস্য শপথ না নিলে আগামী ৩০ এপ্রিলের পর তাদের আসন শুন্য হবে।