সোমবার , ৩ এপ্রিল ২০২৩ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মঙ্গলবারই ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড, অপেক্ষায় সুইডেন

Paris
এপ্রিল ৩, ২০২৩ ৮:১৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদান করছে নর্ডিক অঞ্চলের দেশ ফিনল্যান্ড। আগামীকালই (মঙ্গলবার) এই জোটের সদস্যপদ পাচ্ছে দেশটি। সোমবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর পশ্চিমা এই সামরিক জোটে ফিনল্যান্ডের যোগদান ত্বরান্বিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার সাথে ফিনল্যান্ডের এক হাজার ৩০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। দেশটির ন্যাটোতে যোগদানের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে এই জোটের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় দ্বিগুণ হবে।

এদিকে, ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির পদক্ষেপে নিজ সীমান্ত এলাকায় সামরিক শক্তি জোরদার করা হবে বলে অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া।

ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সদস্য পদ দেওয়ার পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আগামীকাল ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর ৩১তম সদস্য হিসাবে স্বাগত জানাব। এই পদক্ষেপ ফিনল্যান্ডকে নিরাপদ এবং আমাদের জোটকে আরও শক্তিশালী করবে।’

স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা ন্যাটোর সদর দপ্তরে প্রথমবারের মতো ফিনিশ পতাকা উত্তোলন করব। এটি ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা, নর্ডিক অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং সামগ্রিকভাবে ন্যাটোর জন্য একটি ভাল দিন হবে।’

ন্যাটো মহাসচিবের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিনিশ প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ব্রাসেলস যাবেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ফিনল্যান্ড ও তার প্রতিবেশী সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বাধ্য করে। এর মধ্য দিয়ে গত কয়েক দশক ধরে সামরিক এই জোট থেকে দূরে থাকার নীতি পরিত্যাগ করে তারা।

ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ পাওয়ার পথে শেষ বাধা ছিল তুরস্ক। কিন্তু গত সপ্তাহে তুরস্কের সংসদ হেলসিঙ্কির আবেদন অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেয়। তবে সুইডেনের যোগদানের আবেদনে তুরস্কের আপত্তি এখনও বহাল রয়েছে।

স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ন্যাটোকে তোয়াক্কা না করার পরিষ্কার লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন। কিন্তু তিনি ঠিক তার উল্টোটা পাচ্ছেন।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক