ভ্রমণ : আরব আমিরাতের ‘জলের নিচের স্বর্গ’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এই পৃথিবীর তিনভাগই তো জল। এই পানির নিচেও কিন্তু অপূর্ব সুন্দর এক জগত রয়েছে। অবশ্য এগুলো টেলিভিশনে মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছেন সবাই। কিন্তু চোখে দেখতে হলে পানির নিচে ডুব দিতে হবে। পানির নিচের প্রাণী আর তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস এক অসাধারণ বিষয়।

বিস্তর জলরাশির অদেখা জগতটাকে দেখাতেই বিশাল আয়োজন রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। গোটা বিশ্বের আনাচে-কানাচে থেকে ডাইভিংয়ে আগ্রহীরা ছুটে যান ইউএই-তে। অন্যান্য পর্যটকরাও বিশেষ করে মার্টিনি রক, ইনস্কেপ ২, স্নুপি আইল্যান্ড এবং স্যার আবু নুয়াইর আইল্যান্ডে সুযোগ পেলেই ছুটে যান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্যটকদের জন্যে সংরক্ষিত এই জলের দুনিয়াটা আন্ডারওয়াটার প্যারাডাইস নামেই পরিচিত। ফুজাইরার মার্টিনি রক এক অসাধারণ স্থান। এখানে নতুনরা আসেন।

পানির নিচে ডাইভ করা এখানে খুবই সহজ। দর্শনীয় প্রবাল প্রাচীর আপনাকে মুগ্ধ করবে। অসংখ্য প্রজাতির মাছ দেখতে পারবেন। এমনটা হয়তো আর কোথাও দেখেননি।যদি ইনস্কেপ ২-এ যেতে চান, তবে ওই ফুজাইরাতেই পাবেন। এখানে পানির নিচে রয়েছে পুরনো ভাঙা জাহাজ। এটা দেখলে জলদস্যূদের নিয়ে নির্মিত কোনো সিনেমার কথা মনে পড়বে হয়তো। পানির নিচে ২৮ মিটার ডুব দিতে পারবেন। এখানে অচেনা অজানা অনেক প্রজাতির প্রাণীর বাস। এখানে আছে ভয়াল ইল। আছে ব্যারাকুডা। এখানেই দেখতে পারবেন পাইপফিশ। তবে এই স্থানটি পেশাদার ডাইভারদের জন্যেই উপযোগী। নতুনরা এত গভীরে যেতে পারবেন না।

ফুজাইরার আরেক আকর্ষণ স্নুপি আইল্যান্ড। এটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০-২০০ মিটার উঠে গেছে। এখানে জলজগতটা আবার ব্ল্যাক কোরাল রিফ, হাঙর আর অ্যাঞ্জেলফিশের জন্যে বিখ্যাত। হাঙরের কথা শুনে অনেকেই ভয় পান। কিন্তু নয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডাইভারদের জন্যে সুবিধাজনক জলজগত এটা।

শারিয়াহতে গেলে পাবেন স্যান আবু নুয়াইর আইল্যান্ড। এই দ্বীপের আয়তন ১৩ বর্গকিলোমিটার। এখানে বাস করে সবুজ কচ্ছপ। এখানে আছে ডলফিন। উজ্জ্বল রংয়ের মাছেদের ভীড় জমে এই দ্বীপে। প্রবাল প্রাচীর তো আছেই।

জলের নিচের স্বর্গীয় দুনিয়াটাদেখতে চাইলে তাই এসব জায়গায় চলে যেতে পারেন।
সূত্র : দুবাই পোস্ট