সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
দেশে ফিরে এ মুহূর্তে দিল্লির সুব্রত পার্কের সেন্ট্রাল মেডিকেল এস্টাবলিশমেন্টে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষায় আছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।
পাক-ভারতের এমন উত্তেজনা সময়ে এই পাইলটকে পাক কারাগারে শারীরিক নিপীড়ন না চালিয়ে ভারতে দ্রুত হস্তান্তরে বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে ইমরান খান সরকার ও তার পাক সেনাবাহিনী।
পাক সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার নিজেই।
তিনি জানিয়েছিলেন, পাক সেনাবাহিনীর আতিথেয়তায় মুগ্ধ তিনি। স্থানীয় জনতার রোষানল থেকে পাকসেনারা তাকে উদ্ধার করে বলে জানিয়েছিলেন।
৩৫ বছর বয়সী এ ভারতীয় পাইলট বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী খুবই পেশাদার। তাদের মধ্যে আমি শান্তি দেখেছি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমি সময় কাটিয়েছি। তারা আমাকে অভিভূত করেছে।
সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে অভিনন্দনকে বলতে শোনা গেছে এসব কথা।
তবে দেশে ফিরে অভিনন্দন সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম বক্তব্য দিলেন।
অভিনন্দন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, পাক হেফাজতে অসহনীয় মানসিক নিপীড়নের ওপর দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।
এক সংবাদ সংস্থা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার এমনটিই জানিয়েছে।
অভিনন্দন আরও জানিয়েছেন, পান সেনাবাহিনীর দ্বারা মানসিক নিপীড়নের শিকার হলেও তাকে শারীরিক নির্যাতন করেনি তারা।
এ বিষয়ে শনিবার ভারত সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, অভিনন্দন বর্তমানের ওপর ‘মানসিক নির্যাতন’ চালিয়েছিল পাকিস্তান। খবর এনডিটিভির।
তবে পাক কারাগারে থাকা অবস্থায় তার চা পানের ভিডিও এবং পাকসেনাদের বিষয়ে অভিনন্দনের ইতিবাচক বক্তব্য বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ১৯৬৫ সালের কারগিল যুদ্ধে পাকসেনার হাতে বন্দি ভারতীয় বিমানবাহিনীর তৎকালীন গ্রুপ ক্যাপ্টেন নচিকেতা ভিডিওগুলোতে অভিনন্দনের বক্তব্য মানতে নারাজ।
তিনি জানিয়েছিলেন, ‘পাক কারাগারে অভিনন্দনের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি দেশে ফিরলেই জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তান সীমান্তে ঢুকে পড়েন অভিনন্দন। পাকসেনারা তার সেই বিমান ভূপাতিত করলে প্যারাস্যুটে করে তিনি পাক ভূমিতে নামেন। স্থানীয় জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে তাকে হেফাজতে নিয়ে যান পাকসেনারা।
দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টা পাক কারাগারে অবস্থানের পর শুক্রবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে তাকে ভারতের হাতে সমর্পণ করেন পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা।