ভোলায় অনুমতি ছাড়াই সওজ ১৩৬৫ গাছ বিক্রি করেছে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

  • সওজের বিরুদ্ধে অভিযোগ
  • গাছগুলো ভোলা-চরফ্যাশন সড়কে।
  • এগুলো ৩১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে সওজ।
  • গাছগুলোর দাম কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা বলে স্থানীয়দের ধারণা।

ভোলায় পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির অনুমতি ছাড়াই সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের দুই পাশের ১ হাজার ৩৬৫টি গাছ ৩১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে পানির দরে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বন বিভাগের লোকজন ও স্থানীয় কমপক্ষে ৫০ জন ব্যক্তি বলেন, গাছগুলোর দাম কমপক্ষে চার কোটি টাকা হবে। চলতি মাসের শুরু থেকে গাছ কাটা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক কাটা হয়েছে।
জেলা উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া বলেন, ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের দুই পাশে লালমোহন ডাওরী থেকে থানা মোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটারের গাছ ও জমির মালিক সওজ। তবে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন দরকার। এ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সদস্যসচিব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। কিন্তু কমিটির কোনো সভায় এসব গাছ কাটার অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

গত সোম ও মঙ্গলবার দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের মাটি উপড়ে গাছের শিকড় তোলা হচ্ছে। সড়কের মধ্যে একাধিক ট্রাক ও নছিমন দাঁড় করিয়ে রেখে কাটা গাছ তোলা হচ্ছে।
জানতে চাইলে জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ বলেন, ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের প্রস্থ ১৮ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩০ ফুট করা হবে। তাই লালমোহনের ডাওরী থেকে থানার মোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটারের গাছ কাটা হচ্ছে। সড়ক বিভাগ প্রায় ২৫ বছর আগে গাছগুলো লাগায়। ঢাকায় সড়ক বিভাগের বৃক্ষপালন কার্যালয় থেকে গত মার্চে এসব গাছ কাটার দরপত্র ডাকা হয়। ২৫ এপ্রিল এর কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বৃক্ষপালন কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, গাছগুলো কিনেছেন ইমাম হোসেন, মো. ফরিদ, মো. জোবায়ের হোসেন, মো. ফরহাদ হোসেন, নুরুল হক, আনোয়ার হোসেন নামের ছয় ব্যক্তি। এসব গাছের দাম ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৩২ হাজার ২৫৩ টাকা। গাছগুলো কত ঘনফুট, তার হিসাব করা হয়নি। সংখ্যা গুনে নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র ডাকা হয়েছে। এসব গাছের মালিক সওজ বিভাগের বৃক্ষপালন শাখা। এ কারণে পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও গাছের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকি বলেন, বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।