তাহেরপুরে ভোটকেন্দ্রে মেয়রপ্রার্থী কালামের ‘গোলাপ’ উপহার

তাহেরপুরে ভোটারদের গোলাপ উপহার দিচ্ছেন নৌকার মেয়রপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের গোলাপ ফুল উপহার দিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার মেয়র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের হাতে হাতে এ ফুল তুলে দেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নৌকার মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবুল কামাল আজাদ রবিবার সকালে বাজার থেকে গোলাপ ফুল ক্রয় করেন। বসন্ত ও বিশ^ ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে তিনি ভোটারদের হাতে তুলে দেন এ গোলাপ ফুল। ভোটাররা যখন ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলেন তখন কালাম সামনে যাকে পেয়েছেন তার হাতেই ফুল দিয়েছেন লক্ষ্য করা গেছে।

মেয়র কালামের দেয়া গোলাপ ফুল হাতে তাহেরপুর বাজারে দাঁড়িয়ে ভোটার তাসলিমার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ফুল সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতার প্রতীক। মেয়র প্রার্থী আমাদের সবাইকে একটি করে গোলাপ উপহার দিয়েছেন। বিশ^ ভালোবাসা দিবসে তার এই উপহার পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’

তবে এই গোলাপ উপহার দেয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিএনপির মেয়রপ্রার্থীর এক সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নৌকার মেয়রপ্রার্থী জ্বালভোটের মহৌৎসব করে ভোটারদের গোলাপ উপহার দিয়ে বাহ্যিকভাবে আসলে কী বুঝাতে চাচ্ছেন তা জনগণের জানার বাকি নেই।’

এদিকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগে সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থী আবু নঈম শামসুর রহমান ওরফে মিন্টু। এর আগে তিনি দলবল নিয়ে ভোট দিয়েছেন এবং কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর বেলা পৌনে ৩টায় নির্বাচন পরিচালনার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিন্টু ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি বলেন, পৌরসভার সকল কেন্দ্র থেকে তাঁর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সাতটি কেন্দ্র দখল করা ছাড়াও নৌকার প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল মেরে নেওয়া হয়েছে। নৌকায় সিল মারতে ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।’

নৌকার মেয়রপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ পহেলা ফাল্গুন সেই সাথে আজ বিশ^ ভালোবাসার দিবস। অনেক ভোটার আনন্দ-উপভোগ বাদ দিয়ে কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন। তাই আমার পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র এই প্রচেষ্টা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খেলার আগেই যদি কেউ বলেন যে, খেলায় অনিয়ম হবে। আমি খেলবো না। সে তো মানসিকভাবে আগেই হেরে যাবেন। বিএনপির প্রার্থী অবস্থা ঠিক সেরকম। হার নিশ্চিত জেনেই হয়তো তিনি ভোট বর্জন করেছেন। কোথায় কোনো অনিয়ম হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।’

এএইচ/এস