‘ভিসা নীতিতে উদ্বিগ্ন সরকারি কর্মকর্তারা: অনেকের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে পশ্চিমা দেশে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভিসানীতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘ভিসানীতিতে উদ্বিগ্ন সরকারি কর্মকর্তারা: অনেকের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোতে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সরকারি দফতরগুলোয়।

এ বিষয়ে কর্মকর্তারা ভেতরে ভেতরে কথা বললেও কেউ সামনা সামনি কথা বলছেন না। নিজেদের নিরাপদ রাখতে ভিসানীতির পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো দিকেই যাচ্ছেন না বেশির ভাগ কর্মকর্তা।

যেসব কর্মকর্তা কিছুদিন আগেও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কথা বলেছেন তারাও ভিসানীতির পর নীরবতা পালন করছেন। এ বিষয়ে কথা উঠলেই তাদের চেহারায় ফুটে উঠছে উদ্বেগের ছাপ।

বর্তমানে যেসব জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্বে রয়েছেন তারাই বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ তারাই রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও গত নির্বাচনগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারাও রয়েছেন উৎকণ্ঠার মধ্যে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র যদি আগের নির্বাচনগুলোকে আমলে নিয়ে ভিসানীতি প্রয়োগ করে তাহলে তারাও ঝামেলায় পড়বেন।

ভিসা নীতির প্রভাবের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটা ভয়-ভীতি থাকতে পারে কিংবা এ ধরনের যারা সমাজের উঁচুস্তরের মানুষ আছেন তাদের মধ্যে থাকতে পারে।

কারণ তাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকে। ওনারা অনেকে ঘুষ-টুষ খেয়ে দুর্নীতি করে বিদেশে বাড়ি-ঘর করেছেন। ওনাদের একটা ভয় থাকতে পারে যে ওনাদের যদি ভিসা না দেয় তাহলে বাড়িঘরটা দেখভাল করবেন কিভাবে।

ডলার সংকট নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ডলারের সংকট কাটছে না, বাড়ছে ব্যবসার খরচ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন শিল্পকারখানার আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খুলতে ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে।

একটি ঋণপত্র খুলতেই তাদের দুই তিন সপ্তাহের বেশি সময় লাগছে ফলে মাঝেমধ্যে কাঁচামাল সংকটে পড়তে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী ডলার ব্যাংকে পাওয়া যাচ্ছে না। যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে সেটাও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে।

ডলারের পাশাপাশি গ্যাস সংকটে রয়েছে কোম্পানিগুলো। এমন অবস্থায় সক্ষমতার চেয়ে ২৫ শতাংশ কম উৎপাদন করতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। আবার এ পরিস্থিতি কবে নাগাদ উন্নতি হবে সেই ধারণাও কেউ দিতে পারছে না, তাই কোম্পানি মালিকরা ব্যবসা পরিকল্পনা গ্রহণেও হিমশিম খাচ্ছেন।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অন্তত বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বড় শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পেয়েছে প্রথম আলো। তাদের মধ্যে অনেকেই সমস্যা সমাধানের একটি উপায় হিসেবে রপ্তানিকারকদের থেকেও ডলার সংগ্রহ নেমেছেন।

এ কারণে তাদের রপ্তানির চেয়ে অর্জিত ডলারের দাম অনুষ্ঠানিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে কত দেড় বছর ধরে চলছে ডলারের সংকট। গতবছরে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মূলত এই সংকট দেখা দেয়। তখন আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এরপরও সংকট কাটেনি। ব্যাংক ব্যবস্থায় ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা হয়েছে। খোলা বাজারে দাম আরো বেশি।

মাংসের দাম নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘উচ্চমূল্যের কারণে দেশে মাংস খাওয়া কমেছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ তাদের খরচ মেটাতে খাদ্যতালিকায় ব্যাপক কাটছাঁট করছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে মাংসের দামও বেড়ে যাওয়ায় আমিষের চাহিদা মেটাতে মানুষ বিকল্প খাবারে ঝুঁকছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে দেশে গবাদিপশুর অর্থাৎ গরু ও ছাগল জবাই কমেছে প্রায় ৬৬ লাখ।

পশু খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা থাকায় কোরবানিতে দেশে পশু জবাই কমেনি। তবে অন্যান্য খাদ্যপণ্যের সঙ্গে জীবনধারণের সার্বিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।

রাজধানীর বাজারগুলোয় বর্তমানে প্রতি কেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। আর ছাগলের মাংস ৯০০-৯৫০ ও খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছরে গবাদিপশু দুটির মাংস প্রতি কেজিতে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মাংস বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের জন্য মাংস কেনা মানুষের সংখ্যা অনেকাংশেই কমেছে। হোটেলগুলোই এখন তাদের মূল ক্রেতা।

এলপি গ্যাসের দাম নিয়ে সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘এলপি গ্যাস : টানা ৩ মাসে তিন দফায় দাম বাড়লো ৩৬%’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের দাম (এলপি গ্যাস) দাম টানা তিন মাসে তিন দফা বেড়েছে।

রান্নায় বহুল ব্যবহৃত ১২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য অক্টোবর মাসে ভোক্তাকে দিতে হবে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা। সেপ্টেম্বরে এই দাম ছিল ১ হাজার ২৮৪ টাকা। সেই তুলনায় বেড়েছে ৭৯ টাকা।

আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরেও সমপরিমাণ এলপিজি সিলিন্ডারে ১৪৪ টাকা বেড়েছিল। আর জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে দাম বেড়েছিল ১৪১ টাকা। জুলাইয়ের দামের তুলনায় তিন মাসে খরচ বেড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে।

তবে বাজারে বিইআরসি নির্ধারিত দামে এলপি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না, আগেও পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ অধিকাংশ ভোক্তার।

এক দশক আগে সরকার আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার পর এলপি গ্যাসের ব্যবহার বাড়তে থাকে। বাসাবাড়ি, রেস্তোরা, হোটেলগুলো গ্যাস সংযোগ না পেয়ে এলপিজি ব্যবহার শুরু করে।

ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। এরপর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

খেলাপি ঋণ নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার জরুরি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যাংক খাতে নিয়ন্ত্রণহীন খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলে কোনো সুফল আসছে না।

ঋণ গ্রহীতারা আগের ঋণ তো পরিশোধ করছেই না, বরং বিদ্যমান আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে নতুন ঋণ বের করে নিচ্ছেন। সরকারের সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে খেলাপির খাতা থেকে নাম মুছে ফেলছেন অনেকে।

আর এসব কারণেই এ মুহূর্তে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যদিও কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের মতে, প্রকৃত খেলাপির অঙ্ক সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার কম হবে না।

এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রথমেই ব্যাংকগুলোকে নির্মোহভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে-এমন মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া খেলাপি কমানো সম্ভব নয়।

তাদের মতে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ পর্যন্ত যত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সব কেড়ে নিতে হবে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদের বিচার করতে হবে। এ ট্রাইব্যুনালে কোনো আপিলের সুযোগ রাখা যাবে না।

আন্তঃক্যাডার পদোন্নতি বৈষম্য নিয়ে সমকালের প্রধান খবর, ‘পদোন্নতিতে বৈষম্য হতাশায় প্রকৌশলী’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গুটি কয়েক ক্যাডারে বছরে বছরে পদোন্নতি হলেও বাকি ক্যাডারগুলোতে পদ থাকলেও পদোন্নতি আটকে থাকে নানা শর্তের বেড়াজালে। প্রকৌশলীদের ক্যাডারগুলোতেও একই দশা।

প্রকৌশলীদের ভাষ্য, জনপ্রশাসন প্রশাসন ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় প্রকৌশলীসহ সবার পদোন্নতি তাদের হাতে। নিজেরা পদ ছাড়াই শর্ত বদলে পদোন্নতি নিলেও অন্যদের ক্ষেত্রে নিয়োগবিধি, পদ খালি না থাকা, দুদকের ছাড়পত্র না থাকার কারণ দেখিয়ে আটকে দেয়।

রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরে সচিব সমমর্যাদার গ্রেড-১ পদ থাকলেও সেগুলো শূন্য। রেল ও সওজে অতিরিক্ত সচিব সমমর্যাদার গ্রেড-২ পদগুলোও খালি। আপিল বিভাগের রায়েও সওজ ও গণপূর্ত ক্যাডারের পদের গ্রেড উন্নীত হচ্ছে না।

পদোন্নতি বৈষম্যের কারণে প্রকৌশলীরা ঝুঁকছেন পুলিশ, প্রশাসন ও পররাষ্ট্র ক্যাডারে। রেলওয়ে (প্রকৌশল) ক্যাডারের ১৮ ব্যাচের এক কর্মকর্তা সর্বোচ্চ বেতন স্কেলে পৌঁছেও চতুর্থ গ্রেড থেকে যুগ্ম সচিব মর্যাদার তৃতীয় গ্রেড পাচ্ছেন না।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মাসের মধ্যে সওজ ও গণপূর্তের প্রকৌশলীদের গ্রেড উন্নীতের আদেশ দিয়েছে। সরকারের আপিলে সুপ্রিম কোর্ট আদেশ বহাল রাখলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।

রেলওয়ে খাত নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘13 Railway Projects: Cost overrun up to 260pc, time 9.5yrs’ অর্থাৎ ‘১৩টি রেল প্রকল্প: খরচ ২৬০ শতাংশ পর্যন্ত, সময় সাড়ে নয় বছর।’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে রেলওয়ের দুর্বল পারফরম্যান্সের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে।

সরকারি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সম্পন্ন হওয়া ১৩টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টিতে পাঁচ মাস থেকে সাড়ে নয় বছর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে চারটি প্রকল্প ছিল সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য।

প্রতিবেদনে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা, প্রকল্পের নকশায় পরিবর্তন, কাজের পরিধি বৃদ্ধি এবং ক্রয়াদেশে পরিবর্তনকে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা নিম্নমানের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং দুর্বল পরিকল্পনাকে দায়ী করেছেন।

রেলওয়ের ২৮টি চলমান প্রকল্পের বেশিরভাগ সময়সূচী পিছিয়ে রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় অর্ধ ডজন প্রায় এক দশক ধরে বিলম্বিত।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০০৭ সালের অক্টোবরে খুলনায় একটি নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ এবং বেনাপোল স্টেশনের পরিচালন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়।

এতে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা এবং শেষ হওয়ার আনুমানিক সময় ছিল দুই বছর। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের সমাপ্তি ঘোষণা করে যা মূল সময়সীমার পুরো সাড়ে নয় বছর পরে।

এরপর কিছু কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। অথচ প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ৯০ কোটি টাকা – মূল প্রাক্কলনের চেয়ে ১১৩ শতাংশ বেশি।

রেলে কাটা পড়া নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘প্রায় দুই বছরে রেলে কাটা পড়ে ৫২২ জনের মৃত্যু’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা জোনের বিভিন্ন রেললাইন থেকে প্রায় দুই বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৫২২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। এই হিসাবে ওই সময়ে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে হেডফোন বা ইয়ারফোন লাগিয়ে রেললাইন দিয়ে বা পাশ দিয়ে চলার সময়। গত বছর এ কারণে ৯৫ জনের মৃত্যু হয়।

অপরাধ বিশ্লেষকরা এসব মৃত্যুর জন্য পথচারীদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন। এর সঙ্গে আছে রেলপথে যথাযথ নিরাপত্তার অভাবকেও কারণ বলা হচ্ছে। পুলিশের তদন্তেও এসব মৃত্যুর পেছনে আইন না মেনে চলা ও অসচেতনতার বিষয়টি উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা এসব দুর্ঘটনা রোধে রেলবিষয়ক আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করেছেন।সূত্র: বিবিসি বাংলা