ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যা বললেন লেখক ভট্টাচার্য

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, ডাকসু কার্যালয়ে ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও আমি নিজে তদন্ত করছি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত রয়েছেন বলে প্রমাণিত হলে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ভিপি নুরের ওপর হামলা ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে এ কথা বলেন লেখক ভট্টাচার্য ।

এ সময় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, কারণ ছাড়াই ছাত্রলীগকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। এখানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নেই।

তবে কারা এর সঙ্গে জড়িত প্রশ্নে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের কিছু অতি উৎসাহী এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমরা তদন্ত করছি। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডাকসু ভিপির ওপর এমন হামলা বেদনাদায়ক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেন লেখক।

লেখক ভট্টাচার্য আরো বলেন, ডাকসুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। ফলে নেতাকর্মীদেরকে এদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

এ ঘটনাকে পুঁজি করে কেউ যদি ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

প্রসঙ্গত গত ২২ ডিসেম্বর দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে কক্ষের বাতি নিভিয়ে ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন – মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদী হাসান শান্ত।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে না আসায় পুলিশই মামলা করেছে। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আট আসামি হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এএসএম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিমউদ্দীন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম এবং মাহবুব হাসান নিলয়।