ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস, পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তা মঙ্গলবার অবহিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনের ওপর আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালত বলেন, পত্রিকায় দেখেছি, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাই কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানান।

কলেজটির দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের করা রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় এই রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২৭ জুলাই প্রকাশিত ‘আমি গুলি করা মানুষ পিস্তল বালিশের নিচে থাকত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। এর আগে ২৭ জুলাই একই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা সচিব বরাবরে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা বোর্ড কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই রিট আবেদন করা হয়েছে।

শুনানিতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী আদালতে ওই ফোনালাপের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরে বলেন, কামরুন নাহার ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।

সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ওই ফোনালাপের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো… বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ