বুধবার , ২৫ মে ২০২২ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভিআইপি টিকিট যায় কোথায়

Paris
মে ২৫, ২০২২ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ 

খুলনা থেকে ঢাকাগামী সকাল ৯টায় চিত্রা এক্সপ্রেস (নং-৭৬৩) ট্রেনের টিকিট থাকে মোট ৯৮৭টি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়। বাকি ৪৯৩টি টিকিট বিক্রি হয় খুলনাসহ বিভিন্ন রেলস্টেশন কাউন্টারে। অভিযোগ রয়েছে, খুলনার রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে ভিআইপিদের নামে টিকিট বরাদ্দ দেখিয়ে পরে তা উচ্চমূল্যে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। রেলের কর্মচারীরা জানান, করোনার কারণে কোটা প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এখন শুধু রেলের কর্মচারীদের জন্য দুই শতাংশ কোটা থাকলেও ভিআইপি নামে খুলনা স্টেশনে অতিরিক্ত টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়। যাদের অধিকাংশই ট্রেনে ভ্রমণ করেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫ মে খুলনা রেলস্টেশনে ভিআইপিদের নামে টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪২টি। এর মধ্যে রেলওয়ে শ্রমিক নেতা (টিএক্সআর) বায়তুল ইসলামের নামে তিনটি এসি চেয়ার, ট্রাফিক অফিসের জনৈক মো. রাসেলের নামে তিনটি এসি চেয়ার, অ্যাটেনডেন্ট তাজুলের নামে তিনটি এসি চেয়ার, খুলনা শ্রমিক লীগ সভাপতির নামে তিনটি এসি চেয়ার, ওসি জিআরপির নামে চারটি এসি চেয়ারসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার কর্মকর্তার নামে টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক দিন পর ১৭ মে ওসি জিআরপির নামে আরও দুটি এসি চেয়ার, রেল কর্মচারী পপিদুর রহমানের নামে তিনটি এসি চেয়ার, যুবলীগ নেতার নামে চার সিটের একটি সিঙ্গেল কেবিন, যমুনা ব্যাংকের কর্মকর্তার নামে চারটি শোভন চেয়ারসহ ২৪টি টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়।

একইভাবে ৯ মে রাত সোয়া ১০টায় ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে টিকিটের বরাদ্দ রাখা হয় ৪৫টি। এখানে শ্রমিক নেতা (টিএক্সআর) বায়তুল ইসলামের নামে তিনটি এসি চেয়ার, শ্রমিক লীগ সভাপতির নামে তিনটি শোভন চেয়ারসহ সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, ইডেন কলেজের শিক্ষিকাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে টিকিটের বরাদ্দ দেখানো হয়েছে।

এদিকে ভিআইপি তালিকায় নাম থাকা রেলওয়ে শ্রমিকনেতা (টিএক্সআর) বায়তুল ইসলাম বলেন, ‘রেলের কর্মরত মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের জন্য মাঝেমধ্যে টিকিট নেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের প্রয়োজনে আমার নামেই টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হতো। কারণ অনেক সময় স্টেশন মাস্টারকে সিটে পাওয়া যায় না। তবে এ টিকিট আমার আত্মীয়স্বজন বা কালোবাজারিতে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়নি।’

খুলনা জিআরপি থানার ওসি মোল্লা মোহাম্মদ খবির আহমেদ বলেন, ‘আমাকে বিভিন্ন লোক অনুরোধ করলে আমি একটা-দুইটা টিকিটের জন্য স্টেশন মাস্টারকে বলতাম। আমি নিজে কখনো ট্রেনে যাইনি। আর টিকিট সব সময় পাওয়াও যায় না।

তিনটা টিকিট চাইলে একটা হয়তো পাওয়া যায়। ১৫ ও ১৭ মে আমার নামে টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, এটা আমি খোঁজ না নিয়ে বলতে পারব না।’

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - জাতীয়