ভাড়ার বিষয়ে নো কম্প্রোমাইজ!

শাহিনুল ইসলাম আশিক:

ভাড়া। রিকশা ভাড়া, অটোরিকশা ভাড়া, মেস ভাড়া, মেসে অতিথির ভাড়া, হোস্টেলে রুম ভাড়া। এই ভাড়া নিয়ে যতো কথা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানে না কোথায় কত ভাড়া। আর এ সুযোগে ভাড়া দ্বিগুন আদায় করা হচ্ছে। তবে হয়রানি বন্ধে রাবি প্রশাসন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঝুলিয়েছে ভাড়ার তালিকাও। তবে লাভ হয়নি এতে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটা। রাবির স্টেশন বাজার। দু’জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনে যাবেন। রিকশাচালক আজমত আলী। মামা আসেন আসেন..। আজমত শিক্ষার্থীদের কাছে ভাড়া চাইলেন ত্রিশ টাকা। এতো ভাড়া কেনো? এনিয়ে শুরু হলো তাদের মধ্যে বাক-বিত-া। রিকশাচালক বলে উঠলেন, আমি পাঁচ বছর ধরে গাড়ি চালাই, আমি সব জায়গার ভাড়া জানি। ইচ্ছে হলে উঠেন, না হলে যান। পরে ওই দুই শিক্ষার্থী অন্য একটা রিকশা বিষ টাকা ভাড়ায় চলে গেলেন।

বেশি ভাড়া চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিকশা চালক আজমত আলী বলেন, মামা কয়েক দিনের ব্যাপার। বেশি ভাড়া তো নিবই। তারা তো আর প্রতিদিন বেশি ভাড়া দেবে না।

রায়হান নামের ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমরা তো আর ভাড়া জানি না, কোথায় কত টাকা। রিকশা চালকরা যে ভাড়া চাচ্ছে কম বেশি করে চলে যেতে হচ্ছে।

তালাইমারী এলাকায় চলমান অটোরিকশায় ঢাকার মিরপুর থেকে আসা আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলো। তিনি বলেন, ‘পুলিশে চাকরি করার সুবাদে রাজশাহীতে কয়েকবার এসেছি। তখন রিকশা চালকদের দু-পাঁচ টাকা কম দিলে কিছু বলতো না। ভাড়া এখন যেনো বাটার রেট। বেশি ভাড়া কেনো ? রিকশা চালকদের বললে তারা বলে, গেলে আসেন, না গেলে থাকেন। যেতে হলে ওই ভাড়াই দিতে হবে। শুধু অটো ভাড়া না। মেস ভাড়া, হোটেল ভাড়ায় এ কী অবস্থাÑ যেনো ভাড়ার বিষয়ে নো কম্প্রোমাইজ।’

এতো গেলো রিকশা-অটোরিকশা ভাড়া। মেসে অতিথির ভাড়াও ভোগাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলছে, পরীক্ষার অন্য সময়ে মেসে কোনো অতিথি আসলে সমস্যা হতো না। কিন্তু এখন কোনো অতিথি আসলে মেস মালিকদের সমস্যা। তাই অতিথি রাখতে হলে কিছু হলেও টাকা দিতে হবে। তাই মেসে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে প্রতি রাতের জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন মেস মালিকরা বলে অভিযোগ তুলেছে শিক্ষার্থীরা।

 

স/আ