শুক্রবার , ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভাসানী-বঙ্গবন্ধুর আ.লীগ ও শেখ হাসিনার আ.লীগ এক নয়: কাদের সিদ্দিকী

Paris
আগস্ট ৩০, ২০২৪ ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি তো আওয়ামী লীগের কোনো দুর্দিন দেখি না। মওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক না। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ছিল গরিব মানুষের আওয়ামী লীগ। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। সেই আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়।

শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। সবাই তখন ইঁদুরের গর্তের মধ্যে ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করার জন্য যাদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল তারা আমাকে কোনো সম্মান করেনি বা দেখায়নি। বরং তাদের থেকে অসম্মানিত হয়েছি। তবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেক সম্মান পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমি আজকে একটি কথা অবশ্যই বলব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাফল্য আমি মনেপ্রাণে কামনা করি, বিশ্বাস করি। তবে টুঙ্গিপাড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানাই- এই দুর্যোগের মধ্যে তারা বঙ্গবন্ধুর কবরকে মর্যাদার সঙ্গে রক্ষা করেছেন।

আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে, সম্মান করে, যতটা সম্মান তার প্রাপ্য- ততখানি সম্মান দিয়েই আমাদের চলতে হবে।

যে মূল্যবোধ দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম সেই মূল্যবোধ এখন আর নেই। বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি। অনেকে দেশপ্রেমের কথা বলেন কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এটা অর্জন করতে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার করতে হয়।

তিনি বলেন, ঝড় তুফান যখন আসে আবার তা কেটে যায়। কোনো অন্ধকারই চিরস্থায়ী নয়। কোনো দুর্যোগ স্থায়ী নয়। আকাশ আবার পরিষ্কার হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমি ১৬ বছর নির্বাসনে ছিলাম। ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমি প্রথম টুঙ্গিপাড়ায় আসি তখন আমার ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। আমার জীবনে দুটি স্বপ্ন ছিল- এক মাওলানা ভাসানীকে কবর দেওয়া, অন্যটি বঙ্গবন্ধুর লাশ যদি আমি কবর দিতে পারতাম সেট ছিল আমার জন্য সৌভাগ্য; কিন্তু সেই সৌভাগ্য আমি অর্জন করতে পারি নাই। দেশটা আমার ভালো চলে নাই।

বঙ্গবীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আজ আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কতক্ষণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন?  যতক্ষণ শত্রুরা তাকে (শেখ হাসিনাকে) ঘেরাও করে না ফেলবে ততক্ষণ? এমন কথা আমি কখনো বলেছি কিনা জানতে চান তিনি?

কাদের সিদ্দিকী বলেন, মনে হয় আমার কথাটা এমন নয়, বরং আমি বলতে পারি যতক্ষণ উনি (শেখ হাসিনা) বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে থাকবেন ততক্ষণ আমি তার সঙ্গে থাকব।

এর আগে তিনি বেলা পৌনে ১টার দিকে তার বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে কবর জিয়াতর করেন। এ সময় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদ আহমেদ, আব্দুর রহমান, পারভেজসহ টাঙ্গাইলের সফিপুর, বাসাইল, মধুপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন। পরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে সময় কাটান।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - রাজনীতি