মঙ্গলবার , ১৯ মার্চ ২০১৯ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ভাষা আন্দোলনে নিবেদিত অনেকের নাম এখন উচ্চারিত হচ্ছে না: ভাষা সৈনিক আবদুল গফুর

Paris
মার্চ ১৯, ২০১৯ ৫:২১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাষা সৈনিক, লেখক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আব্দুল গফুর বলেন, বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিকতার আকাশ ছুঁয়েছে। এটা অত্যান্ত সম্মানজনক ব্যাপার। প্রকৃত অর্থে বাংলা ভাষার মতো এতো সুন্দর ও মধুর ভাষা পৃথিবীতে বিরল।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

গতকাল (সোমবার) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ঐতিহ্য সংসদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে পদক ও সম্মাননা প্রদান এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুর।

মহান ভাষা আন্দোলনের একজন সৈনিক হিসাবে গর্বিত জানিয়ে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবিতে যারা মাঠে নেমেছিলাম, শেষ পর্যন্ত ১৯৫২ সালে রক্তদানের মাধ্যমে এদেশের রাষ্ট্রভাষা মায়ের ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে একটি বিরল ও বিশাল ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে ভাষা আন্দোলনে নিবেদিত অনেকের নাম এখন উচ্চারিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে তাদের আত্মত্যাগ মুছে যাচ্ছে বলে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন এই ভাষা সৈনিক।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের সেই ত্যাগ ও সংগ্রামের কথাও কেউ বলতে চান না। অথচ আমরা একই সাথে এই বৃহৎ আন্দোলনে অংশীদার ছিলাম। তাদের নাম কোথাও উচ্চারিত না হওয়ার কারণে আমি অত্যন্ত লজ্জিত হই ও অপমান বোধ করি। আমি মনে করি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস অবিকৃত অবস্থায় এদেশের মানুষের কাছে পৌঁছানো।

সেজন্য রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও সংগ্রামের উজ্জ্বলতম অবিকৃত ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরে সঠিক ইতিহাস প্রণয়নে যত্মবান হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি কেন্দ্রের সহকারি সম্পাদক শাহাদাত টুটুল ও মাহবুব মুকুল এর সঞ্চালনায় সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সম্পাদক যাকিউল হক জাকী, ঐতিহ্য সংসদের সভাপতি মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমীর চেয়ারম্যান শরীফ বায়জীদ মাহমুদ, সেক্রেটারি আবেদুর রহমান, নতুন মাত্রার সম্পাদক ড. ফজলুল হক তুহিন।

অনুষ্ঠানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৫ জন বিভিন্ন ক্যাটাগরির নবীন-তরুণ কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সংগীতঙ্গ, সম্পাদক, লেখকদের কে পুরস্কৃত করা হয়।

 

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- সাহিত্যে আহমাদ বাসির, সংগীতে আবুল আলা মাসুম, নাটকে আহসান হাবিব খান, অনুবাদে আলী আহমদে মাবরুর, সম্পাদনায় কবি হাসান রুহুল। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লেখক সংগঠক এমদাদুল হক চৌধুরী, ডিইউজের সহসভাপতি শাহিন হাসনাত, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এম এ তাউহীদ, সুরকার গীতিকার লিটন হাফিজ চৌধুরী, সাংবাদিক আবুল খায়ের,আবু শাকের ইউনুস,সংগঠক ইবরাহিম বাহারী, নাট্যকার ফারুক খান, আ হাই সেলিম, মোকারম বিল্লাহ্, ক্বারী বেলাল হোসেন, নারি আহমদে ফয়সাল, মাহবুব বিন আতাহার, কবি যাকারিয়া সৌরভ, তোফাজ্জল হোসেন, জহির বিন বাশার, জয়নাল আবেদিন, রাকিব হাসান, কবি ফারুক মুহাম্মদ ওমর প্রমূখ।

সর্বশেষ - জাতীয়