ভালবাসা দিবসে উপহার নিয়ে পথ শিশুদের পাশে ওরা..

অমিত হাসান

ভালবাসা। শব্দটি খুবই মধুর, আর তার সাথে যদি যুক্ত হয় ফেব্রুয়ারি মাসের ছোয়া তাহলে তা আলাদা রুপ নিয়ে আবির্ভাব করে। এই দিনে সবাই সবার ভালবাসা প্রকাশ করে দ্বিগুণ উদ্দীপনার সাথে, আমরাই বা কেন তার ব্যতিক্রম হতে যাবে, ভালবাসা তো শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ভালবাসা ছড়িয়ে আছে মায়ের মমতায়, বাবার আদরে, ভাই বোনের আদরে, বন্ধুর দুষ্টুমিতে, অসহায়দের প্রতি মমতা ভালবাসারই একটি অংশ।

কি হয় যদি এক ভালবাসা দিবসে একজন অসহায় শিশুর মুখে একটু খাবার তুলে দিলে ? তার একটু খানি হাসিতে ভালবাসা খুজে নিতে?

আমাদের ইট কাঠের দেয়ালে ঘেরা এই শহরে ওদের প্রতি ভালবাসা দেখানোর মানুষের খুবই অভাব। কিন্তু এই ভালবাসা দিবসে তারই ব্যতিক্রম করে উঠলো ওরা।

আসলে ওরা কারা? তারা এক গুচ্ছ কোমলমতি হৃদয়। রাজশাহী শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষ ছা্ত্র।

অন্যান্যরা যেখানে বিশ্ব ভালবাসা দিবসে প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেব করতে ব্যস্ত, তখন তারা ব্যাতিক্রম চিন্তা নিয়ে ভালবাসা দিবসকে দিলেন ভিন্ন রুপ দিলেন মাহাফুজ রহমান মুগ্ধ, রাকিবুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও নিলয় কুমার।

তেমনি নিজেদের জমানো অর্থ নিয়ে আমাদের কলেজের অধ্যক্ষের সরণাপন্ন হয়। পরে অধ্যক্ষের নির্দেশনা মতে  অন্যান্য শিক্ষক ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে অর্থ সংগ্রহ করেন। ভালবাসা দিবসের দিনটিকে ভাগাভাগি করে নিতে সকাল থেকে তারা অসহায় শিশুর মুখে  ভালবাসার উপহার হিসেবে খাবার তুলে দিয়ে ভালবাসা বিনিময় করেন। শিশুদের হাতে কলা, বিস্কুট, নাড়ু ও কেক নিয়ে প্রায় ১০০টি প্যাকেট তৈরী করা হয়। সকাল থেকে নগরীর শাহ মুখদম দরগা, রেলওয়ে স্টেশন ও ভদ্রা এলাকার কিছু অসহায় শিশুদের হাতে এসব খাবার তুলে দেয় তারা।


মাহাফুজ রহমান মুগ্ধ বলেন, ভালবাসা দিবস ঘিরে আমারা চার জন মিলে এমন কিছু করা যায় কি না তা ভাবছিলাম। কিন্তু আমরা তো ছাত্র টাকা কোথায় পাই। কিন্তু এমন উদ্যোগ হাত ছাড়া হতে দেও্য়া যায় না। পরবর্তীতে আমাদের এই উদ্যোগের সাথে যোগ হয় আরও কিছু বন্ধুরা জীম, শান্ত, নুসরাত, আসিফ ও সামাজিক সংগঠন স্পর্শ-এর পক্ষে নূরুজ্জামান।

তিনি আরও বলেন,আসলে আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি অনেকেই আমাদের ভালোবাসার মানুষটির জন্য অনেক টাকা খরচ করে ফেলবেন, অনেক আনন্দ করবেন। কিন্তু যারা অসহায় তাদের সাথে নিয়ে এই ভালোবাসা দিবস টি উদ্যাপন করেন দেখবেন আপনার অনেক বেশি ভালো লাগবে। আমরা তাদের হাতে সামান্য উপহার টুকু তুলে দিয়ে তাদের হাসিতে তা অনুভব করেছে।

স/শ