ভারত পাঠানোর নামে ঢাকা থেকে নিয়ে ২ নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

মানব পাচারের অভিযোগে বুধবার বেনাপোল ও ঝিকরগাছা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা সিআইডি পুলিশ। পরে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় নিয়ে আসে সিআইডি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার রায়পুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৪), ধান্যখোলা গ্রামের শাহিন আলী (২৬) ও ঝিকরগাছা থানার সুনিল ঘোষের ছেলে বিপ্লব ঘোষ (৩১)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঢাকা থেকে অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্য আসা দুই নারীকে বেনাপোলের পুটখালী এলাকার একটি জায়গায় ধর্ষণও করে। ধর্ষিতা নারীদ্বয় ভারতে প্রবেশ করতে না পেরে ঢাকায় ফিরে পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও পাচারের অভিযোগ করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত রবিবার বেনাপোলের রায়পুর গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলামকে, একইদিন বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রাম থেকে শাহিন আলীকে এবং আজ বুধবার সকালে ঝিকরগাছা বারাকপুর গ্রাম থেকে বেনাপোল চেকপোস্টের দিপ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার বিপ্লব ঘোষকে ঢাকা সিআইডি পুলিশ আটক করে। সিআইডি পুলিশ আটকের পর তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্যে বুধবার বিকেলে বেনাপোল পোর্ট থানায় নিয়ে আসে। পরে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে আসামিদেরকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

নির্ভরযোগ্য একটি সুত্রে জানা গেছে, বেনাপোলের দিপ এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত অভিযোগকারী নারীদ্বয়কে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

এ প্রসঙ্গে দিপ এন্টারপ্রাইজের মালিক দিপ নারায়ণ জানান, যতদূর জেনেছি গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল মেয়েদের ঢাকা থেকে এনেছিল। সে আমার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বিপ্লব ঘোষ এর নাম পুলিশের কাছে উল্লেখ করেছে। তবে এটা পাচার ও ধর্ষণ দুটোই হতে পারে।

বেনাপোল পোর্ট থানার দায়িত্বরত এএসআই মুরাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের সম্পর্কে আমরা সুনিশ্চিত কিছু জানি না। তবে সম্ভবত এটা পাচার অভিযোগ হতে পারে।

পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমিও নিশ্চিত নয়। বিস্তারিত জানেন ঢাকার সিআইডি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ